TMC: তৃণমূলের ব্রিগেড বলেই ট্রেন দিতে নারাজ, ব্রাত্যর নিশানায় রেল
Bratya Basu: ব্রাত্যর দাবি, দিল্লিতে কর্মসূচি নেওয়ার সময় রেলকে আবেদন করা হয়েছিল। সে সময়ও একইভাবে অনুমতি দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। ব্রাত্যর কথায়, "সে সময়ও আমাদের আটকানো করা যায়নি। বাসে করে আমরা মানুষকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলাম।"
কলকাতা: আগামী ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড মিটিং। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে রাজ্যজুড়েই। বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ কর্মী সমর্থক আসার কথা কলকাতার ব্রিগেড মাঠে। এই প্রস্তুতির মাঝেই রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসকদলের। ট্রেন না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে নিজেদের দৈন্য দশা ব্যক্ত করছে। অথচ আমরাই টাকা দেব স্পেশাল ট্রেনের। ২টো ট্রেন কলকাতায় আসবে। ১০ তারিখ আমাদের ব্রিগেড আছে। মানুষ আসবেন, সেখানেই তাদের আপত্তি।”
ব্রাত্যর দাবি, দিল্লিতে কর্মসূচি নেওয়ার সময় রেলকে আবেদন করা হয়েছিল। সে সময়ও একইভাবে অনুমতি দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। ব্রাত্যর কথায়, “সে সময়ও আমাদের আটকানো করা যায়নি। বাসে করে আমরা মানুষকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলাম।”
এরপরই ব্রাত্য বলেন, মানুষ আসবেনই। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা করার করা হবে। ব্রাত্য বলেন, “১০ তারিখ জনগর্জন সভা আমরা সফল করব। আমাদের আটকানো যাবে না। যে পরিমাণ লোক আনার কথা ছিল, দেড় গুণ লোক এনে দেখিয়ে দেব কীভাবে ব্রিগেড সফল করতে হয়।”
তৃণমূলের দাবি, ২৯ ফেব্রুয়ারি দু’টি ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি সিকিউরিটি মানি জমা দেওয়া সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয় রেলকে। ৪ মার্চ রেলের তরফে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ট্রেন দেওয়া সম্ভব নয়। ট্রেন না দেওয়া নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ারের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, “আমাদের আইআরসিটিসি জানিয়েছিল। তবে রোলিং স্টক না থাকার জন্য দিতে পারিনি।”