কলকাতা: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়। সল্টলেকে হালকা ঝড়-বৃষ্টি। হাপিত্যেস গরম থেকে ক্ষনিকের জন্য হলেও মিলল মুক্তি। তবে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রার খুব বড়সড় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যেহেতু বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে সেই কারণে গরম থেকে মিলবে না মুক্তি। বর্ষার বৃষ্টি এলে সুবিধা হত রাজ্যবাসীর। নিয়ম অনুযায়ী আগামিকাল বর্ষা আসার কথা উত্তরবঙ্গে। আর দক্ষিণবঙ্গে ১০ জুন বর্ষা ঢোকার কথা । তবে এইবার সেই তারিখ মিলিয়ে বর্ষা ঢুকছে না। ফলে অস্বস্তিকর গরম থেকে এখনই রেহাই মিলবে না তা বলাই যায়।
কোন কোন জেলায় হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি?
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। গতকাল বীরভূমেও বেশ ভালই বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনকী ঝড়ের জেরে গাছ ভেঙে পড়ারও খবর এসেছে। একই সঙ্গে বাজ পড়ে আহতও হয়েছিলেন তিন জন।
এ দিকে, আরব সাগরে আবার সোমবার একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল।মঙ্গলে সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা। নাম ‘বিপর্যয়’। আর এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু আশঙ্কা কোথায়? এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা। এবার এখনও পর্যন্ত কেরলেই পৌঁছয়নি। সেই পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও অন্তত ১-২ দিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ভ্যাপসা গরমের জেরে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। ছাতা, রোদ চশমা থেকেও কোনও লাভ হচ্ছে না। বাইরে বেরলেই রীতিমতো রোদের তেজে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। একটাই প্রশ্ন এই গরম কবে বিদায় নেবে। কিন্তু বাংলার কপাল যে মন্দ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিরও তেমন আশা নেই। কিন্তু দুপুরের এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি সাময়িক ভাবে আদৌ স্বস্তি মেটাবে? তাই এখন দেখার।