‘৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে….’, ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব, বাড়ল ঘর ওয়াপসির জল্পনা

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 08, 2021 | 6:10 PM

হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি লেখেন, "আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস-এর মতো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা।"

৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে...., ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব, বাড়ল ঘর ওয়াপসির জল্পনা
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: শুভ্রাংশু রায়ের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে নিজের দলের বিরুদ্ধেই এ বার তোপ দাগলেন তৃণমূল ত্যাগী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা চলার মাঝেই রাজীব কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন নিজের অবস্থান। মুকুল-পুত্রের ন্যায়ে তিনিও ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেই কার্যত অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর ইঙ্গিত পরিষ্কার, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করা উচিত হবে না।

এ দিনের ফেসবুক পোস্টে ঠিক কী লিখেছেন রাজীব? রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী লিখেছেন, “সমালোচনা তো অনেক হল….মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।” হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি লেখেন, “আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস-এর মতো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা।”

রাজীবের এই বিস্ফোরক পোস্ট কার্যত ফের একবার তাঁর দলবদলের জল্পনা একধাক্কায় অনেকটা উস্কে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রবীর ঘোষালদের সঙ্গে এই রাজীবই চাটার্ড ফ্লাইটে চেপে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহের হাত ধরে। উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়কও ক’দিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে নিজের উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় এ বার নাম লেখালেন রাজীবও। একই সঙ্গে যে দলবদলের জল্পনা বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছে, তাতে ধুনো দেওয়ার কাজ করল এই ফেসবুক পোস্ট।

আরও পড়ুন: ‘এনআরসি করতে হবে রাজ্যে’, শাহের ‘ক্রোনোলজি’ এ বার শুভেন্দুর কণ্ঠে

যেদিন রাজীব বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেদিন বেরিয়ে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল তাঁর হাতে। অঝোরে কেঁদে নিজের মনের কষ্টের কথাও জানিয়েছিলেন। ডোমজুড়ে ভোটে দাঁড়ালেও সাফল্য পাননি। রেকর্ড মার্জিনে জিতে এসেছে তৃণমূল। শাসকদল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলও একমাত্র তাঁদেরকেই ফেরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে যারা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে মুকুল রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই সোনালী গুহ থেকে সরলা মুর্মুদের মতো একাধিক নেতা ভুল বুঝতে পেরে ঘাসফুলে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে যারা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁদের ফেরানোর বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত নেয়নি তৃণমূল। দলের সুপ্রিমোর উপরই সিদ্ধান্তভার ন্যস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণায় জ্বলছেন’ মুকুল; বিজেপির বৈঠকে গরহাজির থেকে বললেন, ‘আমাকে কেউ জানায়ইনি’

Next Article