কলকাতা : কিছুদিন আগেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Ramanuj Ganguly)। এরই মধ্যে ফের নতুন বিতর্ক। শনিবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে (Trinamool Congress Party Office) দেখা যায় মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতিকে। সেখানে তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনাও জানানো হয়। ফুলের স্তবকও রয়েছে। আর পিছনের দিকের দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের প্রচার সংক্রান্ত একটি পোস্টার জাতীয় কিছুও রয়েছে। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। আর এই নিয়েই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল রামানুজ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি ফোনে স্বীকার করে নিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। শুধু তাই নয়, কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, যা নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে, সেই বিষয়টিও খোলসা করেছেন তিনি।
TV9 বাংলাকে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিষয়টি অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমার সতীর্থ শিক্ষক বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি সেটি গ্রহণ করেছি। শনিবার সন্ধেয় ব্যক্তিগতভাবে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে আমার বন্ধুদের সঙ্গেই ছিলাম। তারপর সেখান থেকে বাড়ি চলে এসেছি। এর সঙ্গে বোর্ড বা বোর্ডের কার্যকারিতা বা দায়িত্ব কিংবা গুরুত্ব, কোনওটিই যুক্ত নয়। এটি একেবারেই ব্যক্তিগত স্তরের বিষয়। এটি নিয়ে অযথা অপব্যাখ্যা করে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। আমি অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, বোর্ডের উপর আস্থা রাখুন, খুব ভালভাবে চলবে সব কিছু।”
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি যেহেতু দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত, সেই কর্মক্ষেত্রে জেলার বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। তাঁদের আমন্ত্রণেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এর সঙ্গে যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই সেই বিষয়টিও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।