কলকাতা ও কাঁথি: কাঁথি পুরসভার একাধিক দুর্নীতি নিয়ে বিগত বছরে বিস্তর চর্চা হয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কাঁথি পুরসভায় ঠিকাদারি করার অভিযোগও সামনে এসেছিল। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন কাঁথি পুরসভার (Kanthi Municipality) ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডার স্ত্রী কাকলী পণ্ডা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পণ্ডা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার এই মামলার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। এল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ।
মামলার মূল অভিযোগকারী কাকলী পণ্ডার দাবি কেউ রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে রেখেছিল আগেই। এরপর তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগপত্রে সই করতে বাধ্য করেছিল। শুনানি চলাকালীন আদালতে এ কথা জানাতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। তাঁর কথা শুনে চোখ কপালে তোলেন খোদ বিচারপতিরাও। অবশেষে মঙ্গলবার এ মামলায় দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর রামচন্দ্র পণ্ডার নিঃশর্ত জামিনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে ঘটনার মূল খুঁজতে দেওয়া হয় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, যে এফআইআর করা হয়েছে তার নেপথ্যে কে রয়েছে, এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া এতদিন কোন পথ এগিয়েছে এখন থেকে সে সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের এই রায় নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। এই সময়কালে দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভায় বিভিন্ন কাজে ঠিকাদারি করেন রামচন্দ্র পণ্ডা। এদিকে ঠিকাদারি করতে হলে শংসাপত্র দিতে হয়। কিন্তু, সম্প্রতি কাকলী দেবী তাঁর আগের অভিযোগপত্রে জানিয়েছিলেন রামচন্দ্রের শংসাপত্র পুরোপুরি ভুয়ো। তারপরেও তিনি কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কাঁথি থানায় দায়ের হয়েছিল লিখিত অভিযোগ। যে ‘অভিযোগের’ সত্যতা নিয়ে বর্তমানে বাড়ছে রহস্য।