কলকাতা : আচমকা শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার অন্যতম শিল্পপতির মেয়ে রসিকা জৈনের। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি করে পরিবার। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় এবার গ্রেফতার করা হল রসিকার স্বামী কুশল অগ্রবালকে। বুধবার রাতে আলিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কুশলকে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্বশুরবাড়ির নীচ থেকে উদ্ধার হয় রসিকার দেহ। প্রথম থেকেই বাপেরবাড়ির অভিযোগ ছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। শহরের অন্যতম শিল্পপতির পরিবারের মেয়ে রসিকার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ব্যবসায়ী কুশলের। অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাঁর ওপর নানাভাবে অত্যাচার করা হতো। মোটা টাকা পণ চাওয়া হত বলেও অভিযোগ।
ঘটনার পর থেকে মামলা চলছিল। কুশলের নাম সামনে আনা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি এতদিন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্ব একটি সিট গঠন হয়। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলই এ দিন গ্রেফতার করেছে কুশলকে। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুশল। শেষ পর্যন্ত এক বছরেরও বেশি সময় পর গ্রেফতার করা হল কুশলকে।
২০২০ সালে আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোডের ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রসিকার সঙ্গে বিয়ে হয় আলিপুরেরই ডিএল খান রোডের সম্পন্ন ব্যবসায়ীর ছেলে কুশলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রসিকার ওপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী। মাদকাসক্ত হয়ে কুশল নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধুমধাম করে বিয়ে হওয়ার বছর খানেক পর থেকেই গোপনে নানা অভিযোগের কথা বাবা, মা ও ভাইকে জানাতেন রসিকা। এরপরও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে জৈনরা কোনও অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেননি বলেই মনে করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই রসিকার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, রসিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান।