Rabindra Bharati University: ‘মমতা-অভিষেকের নামে স্লোগান ওঠে’, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য

সুমন মহাপাত্র | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 28, 2023 | 11:22 PM

Rabindra Bharati University: উপাচার্যের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ সি ও গ্রু ডি কর্মীদের একাংশ উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন ও যে ভাষায় কথা বলেন সেটা শুনলে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে।

Rabindra Bharati University: মমতা-অভিষেকের নামে স্লোগান ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য
শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্য যেতেই পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে! একদল কর্মীর দাপটে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। সামনে এল এমনই অভিযোগ। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর অফিসে ঢুকে করা হচ্ছে অভদ্র আচরণ। তাঁকে ‘আরএসএস-পন্থী’ বলে কটাক্ষ করে স্লোগান দেওয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে! এমনকী তাঁকে শারীরিক আঘাত করার পরিকল্পনা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আচার্য সি ভি আনন্দ বোস সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি ছিল, শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন। তবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কার্যত চমক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। সেই উপাচার্যই এবার দাবি করছেন, কাজ করতেই দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।

TV9 বাংলাকে উপাচার্য জানিয়েছেন, গত ৭ জুলাই তিনি যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেদিনই তিনি শিক্ষা দফতর ও আচার্যকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি কোনও অর্থ নেবেন না। সমাজসেবার হিসেবেই কাজ করবেন। তবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানা অস্বস্তিতে পড়ে হয় তাঁকে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ সি ও গ্রু ডি কর্মীদের একাংশ উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন ও যে ভাষায় কথা বলেন সেটা শুনলে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে।

উপাচার্য বলেন, “এরা সবাই তৃণমূলপন্থী। এরা ধরে নিয়েছে আমি আরএসএস-বিজেপি পন্থী। এরা বলছে, বিজেপি-আরএসএস-কে বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেব না। সেটা তো আমারও মত। আমিও চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক মতের বিষয়ে পড়ানো হবে কিন্তু শিক্ষা হবে নিরপেক্ষ। এরপরই এরা চীৎকার করে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। এতে কি মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান রক্ষা হচ্ছে?”

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, কেউ আছেন যাঁরা এই বিষয়টাকে সমর্থন করছেন। কোনও ভদ্রলোকের পক্ষে ওখানে কাজ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। উপাচার্য আরও জানান, গত শুক্রবার একটি কমিটি মিটিং ছিল। বাধ্য হয়ে থানায় ফোন করেন তিনি। তাঁর গায়ে বোতল ছু়ড়ে মারার কথাও কেউ কেউ বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

Next Article