Khardah Accident: খড়দহের দুর্ঘটনায় রেলের গেটম্যানের ভুল, বলছেন আরেক গেটম্যান

Khardah Accident: রবিবার রাতে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস তখন খড়দহে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে। সেই সময় একটি টাটা সুমো গাড়ি ও আরেকটি গাড়ি রেল গেটের দিকে যায়। সে সময় রেল গেট বন্ধ হচ্ছিল। তার আগে রেড সিগনালও দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সেই সিগনাল ভেঙে ওই গাড়ির চালক এগিয়ে যান বলে অ

Khardah Accident: খড়দহের দুর্ঘটনায় রেলের গেটম্যানের ভুল, বলছেন আরেক গেটম্যান
এভাবেই চলে পারাপার। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2024 | 3:51 PM

কলকাতা: খড়দহে রবিবার হাজারিদুয়ারি এক্সপ্রেসে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে। একইভাবে প্রশ্ন এড়াতে পারছে না রেলও। রবিবারের ঘটনায় রেল, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ‌ রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এক নম্বর গেট দিয়ে দু’টি গাড়ি ঢুকল কীভাবে? কেন গেটম্যান রেলগেটের ভিতরে গাড়ি ঢোকার পর‌ও হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসকে যাওয়ার সঙ্কেত দিলেন? বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রেলগেটের উপরে প্রস্তাবিত উড়ালপুল কেন তৈরি হচ্ছে না? কেন নিয়ম মতো রেলগেটে আরপিএফের দেখা মেলে না? একইসঙ্গে রেলের এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল চার চাকার গাড়ির চালককে। একইসঙ্গে রেললাইনে ঢুকে পড়া দু’টি গাড়িই আটক করেছে রেল পুলিশ।

রবিবার রাতে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস তখন খড়দহে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে। সেই সময় একটি টাটা সুমো গাড়ি ও আরেকটি গাড়ি রেল গেটের দিকে যায়। সে সময় রেল গেট বন্ধ হচ্ছিল। তার আগে রেড সিগনালও দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সেই সিগনাল ভেঙে ওই গাড়ির চালক এগিয়ে যান বলে অভিযোগ।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র রবিবারই জানিয়েছিলেন, “আমরা টাটা সুমোর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি। ওনার গাফিলতির জন্য বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” যদিও যিনি গেটম্যান ছিলেন, তিনি ভুল করেছেন বলে দাবি করছেন সোমবার দিনের বেলা যিনি গেটম্যান হিসাবে একই জায়গায় কর্তব্যরত।

দিনের গেটম্যান বলছেন, “গেটম্যান ক্লিয়ার করে রাখলে এটা হতো না। গাড়িটা দাঁড় করিয়ে রাখত। ক্লিয়ার করে গাড়িটা বের করতে পারত। গাড়িটা দেরি হলে কিছুই হতো না। আমাদের একটাই নিয়ম মানতে হয়, তা হল নিরাপত্তা।”

তবে রবিবারের দুর্ঘটনার পর‌ও সোমবার বহাল অসচেতনতার ছবি। রেলগেট পড়লেও লাইনের মধ্যে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পথচারী, যাত্রীরা। গেট ম্যানের বিপদ সাইরেন উপেক্ষা করেই লাইনের উপরে চলছে গাড়ি চলাচল। ফটক বন্ধ করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে গেটম্যান, আরপিএফের।

আরপিএফ শরদিন্দু মণ্ডল বলেন, “আমরা চেষ্টা করতে পারি। এর বেশি কী করব। পাবলিক একটা কথা শোনে? এখানে ব্রিজ করতে দেবে না। ২৫ বছর আগে এখানে এসেছিল রেলের ব্রিজ করার জন্য। কেউ করেনি।” এদিকে রেলযাত্রীরা বলছেন, সকলে তো সবই দেখছে। বলে তো লাভ হয় না।