Recruitment Scam: অনলাইন ক্লাসের নামে ছাত্র পিছু ৫০০ করে নেওয়া হত! মানিক-পুত্রের মামলায় জানাল ED
Recruitment Scam: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে জানায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস কুমার মণ্ডল মিলে ঠিক করেছিলেন অনলাইন ক্লাস করানো হবে। ছাত্র পিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হত।

কলকাতা: বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জামিন হয়েছে আগেই। তবে মানিক-পুত্র সৌভিকের জামিন মামলায় উঠে আসছে একের পর এক অভিযোগ। কী কী ভাবে টাকা কামাতেন সৌভিক, সেই বিষয়ে হাইকোর্টে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। এবার প্রশ্ন উঠল সৌভিক ভট্টাচার্যের অনলাইন ক্লাস নিয়ে। অল বেঙ্গল টিচার ট্রেনিং অ্যাচিভার্স এসোসিয়েশন নামে বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন কেন তৈরি করা হয়েছিল? অনলাইনে শিক্ষকতার বিষয়টাই বা কীভাবে এল, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পরবর্তী শুনানিতে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ওই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও যোগ আছে কি না, তা এদিন জানতে চান বিচারপতি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে জানায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস কুমার মণ্ডল মিলে ঠিক করেছিলেন অনলাইন ক্লাস করানো হবে। ছাত্র পিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হত। ইডি আরও জানায়, কোভিডের সময়ে অনৈতিকভাবে টাকা রোজগার করার জন্য ওই ৫০০ টাকা করে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
এ কথা শুনে বিচারপতি জানতে চান, এই টাকা কীভাবে নেওয়া হয়েছে? নগদে নাকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে? আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। কয়েকদিন আগে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, সৌভিকের সঙ্গে একটি ক্লাবের যোগ রয়েছে এবং সেই ক্লাবের মাধ্যমেও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। ডিএলএড কলেজগুলি থেকে টাকা তোলার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই মামলায়।
