Kuntal Ghosh: কে ‘কালীঘাটের কাকু’? কুন্তল বললেন, ‘কাকু একজনকেই চিনি, আমার বাবার ভাই’

সুমন মহাপাত্র | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 23, 2023 | 3:01 PM

Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়।

Kuntal Ghosh: কে ‘কালীঘাটের কাকু’? কুন্তল বললেন, ‘কাকু একজনকেই চিনি, আমার বাবার ভাই’
কুন্তল ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: গোপাল দলপতি বলছেন, ‘কালীঘাটের কাকু’কে টাকা দিতেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তাপস মণ্ডল বলেছেন, সেই ‘কালীঘাটের কাকু’ নাকি আসলে বেহালার ম্যান্টনের বাসিন্দা সুজয় ভদ্র। আবার সেই সুজয় ভদ্র বলছেন, তিনি ‘কাকু’ কিন্তু ‘কালীঘাটের কাকু’ নন। নিছকই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার একজন কর্মী বলে পরিচয় দেন সুজয়। আবার কুন্তল বলছেন, সুজয় ভদ্রকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। কিন্তু কালীঘাটের কাকুকে? বৃহস্পতিবার হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে যখন নিজাম প্যালেস থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হচ্ছিল, তখন তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ‘কাকু বলতে আমি একজনকেই চিনি। আমার বাবার ভাই।’ স্বভাবতই, ‘কালীঘাটের কাকু’ নিয়ে জট আরও জটিল হচ্ছে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সুজয় ভদ্র কে চেনেন?’, উত্তরে কুন্তল বলেন ‘দু-একবার দেখেছি’। কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিল কে? এই প্রশ্নে কুন্তলের মুখে সেই গোপাল দলপতির নাম। তিনি স্পষ্ট বললেন, ‘একমাত্র গোপাল দলপতিই টাকা নিয়েছেন।’

এদিন আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকেও আদালতে তোলা হয়। নিজাম থেকে বেরনোর সময় তাঁকে সুজয় ভদ্রকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কাকুর নাম কুন্তল বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।’

চাকরি প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে কুন্তল ঘোষ কাকে দিতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গোপাল দলপতি জানিয়েছিলেন, মাঝে মধ্যে নাকি কারও কাছে ‘কালীঘাটের কাকু’কে টাকা পাঠানোর কথা বলতেন কুন্তল ঘোষ। ‘হেডকোয়ার্টারে কাকু আছে’, এ কথাও নাকি বলতেন কুন্তল। তবে সেই ‘কাকু’র নাম প্রথম সামনে আনেন তাপস মণ্ডল। তিনি জানান, ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে সুজয় ভদ্র।

ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে সুজয় ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি কুন্তলকে চিনতেন। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলেই দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।

Next Article