Recruitment Scam: ‘ভিনরাজ্য’ মানে কি গোয়া-ত্রিপুরা! হোটেল, চা বাগানের ব্যবসাতেও খেটেছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা: সূত্র

সুজয় পাল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 16, 2023 | 11:27 AM

Recruitment Scam: তিন দিন আগে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার সময়ে সাংবাদিকদের সামনে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ কুন্তলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।

Recruitment Scam: ‘ভিনরাজ্য’ মানে কি গোয়া-ত্রিপুরা! হোটেল, চা বাগানের ব্যবসাতেও খেটেছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা: সূত্র
কুন্তল ও শান্তনু

Follow Us

কলকাতা: ভিনরাজ্যে হোটেল, চা বাগানে খাটছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? দুর্নীতির টাকাতেই রমরমিয়ে চলছে ভিনরাজ্যের ব্যবসা? নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকার ব্যবহার নিয়ে তথ্য খুঁজছে ইডি। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভিনরাজ্যে বেআইনি টাকা খাটানোর পোক্ত ক্লু রয়েছে তাদের হাতে। কুন্তল, শান্তনুর মারফত ত্রিপুরা, গোয়ায় টাকা খাটানোর তথ্যও উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘনঘন ত্রিপুরা যেতেন কুন্তল। আর তাঁর এই ত্রিপুরা যাত্রায় আরও জোরাল হয়েছে সন্দেহ। তবে জেরার মুখে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুন্তল, শান্তনু দুজনেই। তাই তথ্য পেতে এবার নথি নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে তলব সম্ভাবনা।

তিন দিন আগে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার সময়ে সাংবাদিকদের সামনে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ কুন্তলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। শান্তনু দাবি করেন, ‘মাস্টারমাইন্ড কুন্তলই।’ তিনি আরও দাবি করেন, “কুন্তলই ভিন রাজ্যে টাকা পাচার করছেন।” তাঁর এই দাবি যে খুব একটা অন্তঃসারশূন্য নয় , তা বুঝতে পারেন তদন্তকারীরাও।

ইডি-র বক্তব্য, কুন্তল ও শান্তনু ভিন রাজ্যে হোটেল ব্যবসা ও চা বাগানে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মূলত ত্রিপুরা ও গোয়াতে হোটেল ব্যবসায় টাকা খাটানো হয়েছে বলে ইডি-র হাতে তথ্য এসেছে। দেশের নামী হোটেল-চেনেও কম করে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি ইডি-র। সূত্রের খবর, হাতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই কুন্তল ও শান্তনুকে পৃথকভাবে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁরা দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ‘ক্লু’ যখন হাতে এসেছে, এত সহজে দমে যেতে নারাজ তদন্তকারীরা। তাঁরাও আরও পোক্ত প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ কিংবা চা বাগান কর্তৃপক্ষকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। সমস্ত নথি তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। ২০১৭ সালের পর থেকে তাঁরা কোথায় বিনিয়োগ করেছেন, কোথা থেকে টাকা এসেছে, কোথায় বিনিয়োগ করেছেন, সেই বিষয়গুলি দেখতে চান ইডি আধিকারিকরা।

Next Article