
কলকাতা: গবেষণা থমকে নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পথে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো! এই বিষয়েই চলছে গবেষণা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের যৌথ উদ্যোগে চলছে এই গবেষণা। চন্দননগরের আলো থেকে মূর্তি সবই এক অনন্য ঐতিহ্যের অংশ। সেটাই উঠে আসছে গবেষণায়। পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশের একাধিক ঐতিহাসিক অংশেরও উল্লেখ রয়েছে এই গবেষণায়। ইউনেস্কোর মাপকাঠি মেনেই হয়েছে বিশদ গবেষণা।
ভবিষ্যতে ইউনেস্কোর ইন্টেনজেবেল কালচারাল হেরিটেজ তকমা পেতে পারে চন্দননগরের এই পুজো। এক বাঙালির গবেষণাতেই বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছিল দুর্গাপুজো। আর এবার সেই পথেই এগোচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। যাদবপুরের জগদ্ধাত্রী গবেষণা কি নতুন পথ দেখাবে? আশায় প্রহর গুনছে চন্দননগর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রাহি সোরেন এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুজোর সঙ্গে বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের সম্পর্ক। আদান-প্রদানের একটা বড় জায়গা হয়ে ওঠে এই পুজো। শোলার কাজ থেকে শুরু করে আলো, সব ক্ষেত্রেই জগদ্ধাত্রী পুজোর এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।”
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। সেই ঐতিহ্য আজও বজায় আছে। নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বর্তমানে জগদ্ধাত্রী পূজা হয়। বহু মানুষের সমাগম হয়। একেকটি পুজো বহু বছরের পুরনো। সেই পুরনো রীতিনীতি মেনেই চলে দেবী আরাধনা।