কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে কার্যত লকডাউন জারি রয়েছে রাজ্যে। এ বার সেই বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ল আরও। ১৫ জুলাই পর্যন্ত যে বিধি-নিষেধ জারি ছিল, তার মেয়াদ বাড়ানো হল ৩০ জুলাই পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হলেও আপাতত লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না। তবে মেট্রোর ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন চলবে মেট্রো, শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে পরিষেবা।
ধাপে ধাপে বিভিন্ন পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য নিত্যযাত্রীদের বারবার দাবি জানিয়েছেন। এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু ট্রেন চালু হলেই সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, তাই ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে এখনও ছাড় দিচ্ছে না রাজ্য। বুধবার এই বিষয়ে সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বন্ধ ট্রেন, চালু মেট্রো:
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্যাক্সি, অটো, ট্রাম, নৌকার মতো যানবাহন। প্রতিনিয়ত সব যানবাহন স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের মধ্যে চলবে না লোকাল ট্রেন। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেট্রোর ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পাঁচ দিন চলবে মেট্রো রেল। শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা। সব যাত্রী ও চালকের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
বন্ধই থাকছে সিনেমা হল, সুইমিং পুল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা:
আপাতত খুলছে না সিনেমা হল বা সুইমিং পুল। শুধুমাত্র জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরের সাঁতারুরা সকাল ৬ টা থেকে ১০ টার মধ্যে সুইমিং পুল ব্যবহার করতে পারবে প্র্যাকটিসের জন্য। কোনও ধরনের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক জমায়েত চলবে না। বিয়েবাড়িতে ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি নিষেধ। ২০ জনকে নিয়ে করতে হবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান।
অফিস খোলার ক্ষেত্রে মানতে হবে নিয়ম:
জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, নিকাশির মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি অফিস স্বাভাবিক নিয়মে খুলবে। অন্যান্য বিভাগে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খোলা হবে। সে ক্ষেত্রে অফিসের বিভাগীয় প্রধানকে রোস্টার তৈরি করতে হবে। বেসরকারি আর কর্পোরেট সেক্টরের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খোলা যাবে। কর্মীদের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। অফিসের মধ্যে পরতে হবে মাস্ক, মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।
এ ছাড়া, রেস্তোরাঁ, বার, শপিং মল, ক্লাব ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে খোলার অনুমোদন রয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। তবে রাত ৮ টার পর এগুলি আর খোলা রাখা যাবে না। সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১০ টা ও বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জিম খোলা যাবে। সেলুন বা পার্লার খোলার ক্ষেত্রেও গ্রাহক সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না, সব কর্মীর টিকাপ্রাপ্ত হওয়া জরুরি।