
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে রিপোর্ট বনাম রিপোর্ট। সিএফএসএল দিল্লির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করছেন তিলোত্তমার পক্ষের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদার। হাইকোর্টে সিবিআইয়ের জমা করা রিপোর্টের পাল্টা এবার আরও একটি রিপোর্ট পেশ করলেন তিলোত্তমার আইনজীবী। ফের একবার প্রশ্ন উঠছে, তিলোত্তমার খুনে কি এক ব্যক্তিই নাকি একাধিক ব্যক্তি জড়িত?
প্রশ্নের উত্তরে হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে ডিএনএ বিশেষজ্ঞ তথা ন্যাশনাল সায়েন্স চেয়ার পার্থপ্রতিম মজুমদারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সেই ডিএনএ বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট সিবিআইয়ের জমা করা রিপোর্ট থেকে ভিন্ন বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।
হাইকোর্টে জমা পড়া সেই রিপোর্টে উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে তিলোত্তমা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায় ছাড়াও ক্রাইম সিনে উপস্থিত ছিলেন আরও একজন মহিলা। তিলোত্তমার দেহ সঞ্জয় ছাড়াও সেই মহিলা স্পর্শ করেছিলেন বলেও দাবি বিশেষজ্ঞের রিপোর্টে। এছাড়া, ক্রাইম সিনে সঞ্জয় ছাড়াও অন্য পুরুষের উপস্থিতি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে দাবি করা হয়েছে।
এই রিপোর্ট কার্যত মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তিলোত্তমা-কাণ্ডের তদন্তের। ক্রাইম সিনে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতির কথাই কি বলতে চেয়েছেন ডিএনএ বিশেষজ্ঞ? পরবর্তী শুনানিতে ডিএনএ বিশেষজ্ঞের মতামত জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।