কলকাতা: তিলোত্তমার বিচারের অপেক্ষায় অনেক রাত জেগেছে বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহর থেকে গ্রামে প্রতিধ্বনিত হয়েছে প্রতিবাদের সুর। কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালে ঢুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। বিচার চেয়ে আজও অপেক্ষায় আছেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। রায়দানের আর খুব বেশি দেরী নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
গত বছরের ৯ অগস্ট সকালে আরজি করের ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। রক্তাক্ত দেহের উপর নৃশংসতার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ঘটনার পরই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ঘটনার দিন তাঁর উপস্থিতির কথা জানতে পারে পুলিশ। গ্রেফতার করার পর চলে জেরা। পলিগ্রাফ টেস্টও হয় তাঁর। তদন্ত হস্তান্তরিত হওয়ায় সিবিআই-এর হেফাজতে চলে যান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। নিম্ন আদালতে এবার শেষ হল তাঁর সওয়াল।
বুধবার আদালতে সওয়াল করেন ওই অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলার শুনানি আছে। তিলোত্তমার বাবা-মা কিছু বলার আবেদন জানিয়েছেন। আইনজীবীদের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বক্তব্য পেশে অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বক্তব্য পেশ করবেন তাঁরা।
সিবিআই-ও বৃহস্পতিবার বক্তব্য শেষ করবে। সব পক্ষের বক্তব্য সম্পূর্ণ হলে আরজি কর মামলায় বৃহস্পতিবারই শেষ হবে সওয়াল-জবাব। এরপর শুরু হবে রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া। কবে রায়দান হবে, সেটাও খুব শীঘ্রই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।