
কলকাতা: আলমারির মধ্যে থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ১১ বছরের কিশোরীর এ কী মর্মান্তিক পরিণতি! আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? আলো উৎসবের মাঝে আঁধার নামল আলিপুর থানার অন্তর্গত বিদ্যাসাগর কলোনিতে। এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠল হাজার প্রশ্ন। এই নাবালিকা আবার আরজি করের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বড় দিদির মেয়ে।
রবিবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় আলমারির মধ্যে থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পরিবার। দেখা যায়, তাঁর ঘরেরই আলমারির মধ্য়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে কিশোরীর অচৈতন্য দেহ। এরপরই তড়িঘড়ি ওই কিশোরীকে এসএসকেএস হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। কিন্তু দিন পেরতেই ঘটে বিপত্তি। সোমবার কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিন নিহত নাবালিকার ঠাকুমা জানিয়েছেন, ‘ওরা আলাদা থাকত, আমাকে তো বাড়িতে ঢুকতে দেয় না। আমি ওঁর ব্যাপারে কিছু জানতে পারতাম না। এক মাস আগে যাঁর ১১ বছর বয়স হল, সে কি গলায় দড়ি দিতে পারে? এটা সম্ভব? ছেলের আগে স্ত্রী অর্থাৎ ওঁর মাও আত্মঘাতী হয়েছিল। তারপর ছেলে তাঁর শ্য়ালিকার সঙ্গে বিয়ে করে।’
উল্লেখ্য়, ওই কিশোরী আরজি করের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি অর্থাৎ তার বড় দিদির মেয়ে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর দেখাশোনা করতেন দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ছোট দিদি। পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গেই কিশোরীর বাবা বিয়ে করেন। তারপরই বদলে যায় ছবি। কিশোরীকে ঠাকুমার থেকে দূরেই রাখতেন সৎ মা, এমনটাই অভিযোগ। এদিন ওই নিহতের ঠাকুমা বলেন, ‘আমায় বাড়িতে ঢুকতে দিত না। মেয়েটা আসতে চাইত, কিন্তু সব সময় দূরে দূরে রাখত। আমরা দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলতাম।’
কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কী? সেই নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ? খুনের তত্ত্ব নেই তো? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।