RG Kar: ৭৭৮ জনের মধ্যে শুধু দেবাশিস হালদারই কেন! বদলে গেল পোস্টিং! বিতর্ক তুঙ্গে
RG Kar: দেবাশিস বলছেন, "জয়েনিং দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল। এবার লিস্ট বেরোনোর পর দেখি, আমার নামের পাশে হাসপাতালের নাম বদলে গিয়েছে। অথচ ওই হাসপাতালে কোনও ভ্যাকান্সিই ছিল না।"

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনের অন্য়তম মুখ ছিলেন চিকিৎস দেবাশিস হালদার। হাসপাতাল চত্বর থেকে ধর্মতলা, সর্বত্র আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকেছেন তিনি। এবার সেই চিকিৎসকের বদলি নিয়ে বিতর্ক। মেধাতালিকা বা মেরিট লিস্টে শুধুমাত্র দেবাশিস হালদারের পোস্টিংটাই বদলে গেল কীভাবে? প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠন। অভিযোগ, শুধুমাত্র দেবাশিসের ক্ষেত্রেই এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র রেসিডেন্টদের গ্রামীণ এলাকায় পোস্টিং দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। সেই প্রক্রিয়ায় একটি কাউন্সেলিং হয়। সেখানে চিকিৎসক কোথায় পোস্টিং চান, তা জানতে চাওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী দেবাশিসদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। দেবাশিস হাওড়া জেলা হাসপাতালের কথা জানিয়েছিলেন। সেই নথিও বেরোয়, যেখানে স্বাক্ষর করেছিলেন চিকিৎসক দেবাশিসক হালদার। সাধারণত, কাউন্সেলিং-এর পোস্টিংটাই থাকে মেধাতালিকাতেও। কিন্তু মেরিট লিস্ট বেরতেই উঠল অভিযোগ। কেন বদলে গেল দেবাশিসের পোস্টিং?
দেবাশিস বলেন, “জয়েনিং দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল। এবার লিস্ট বেরোনোর পর দেখি, আমার নামের পাশে হাসপাতালের নাম বদলে গিয়েছে। অথচ ওই হাসপাতালে কোনও ভ্যাকান্সিই ছিল না।”
মেরিট লিস্টে দেখা যাচ্ছে, মালদহের গাজলে দেবাশিসের পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম (WBJDF)-এর দাবি, মোট ৭৭৮ জন চিকিৎসকের কাউন্সেলিং হয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র দেবাশিসের পোস্টিং এভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, শূন্যপদের যে তালিকা বেরিয়েছিল, সেখানে মালদহের গাজোলের হাসপাতালের নাম ছিল না। ছিল মালদহের সিলামপুরের নাম। কোনও শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও কেন দেবাশিসকে গাজোলে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দেবাশিস হালদারের পোস্টিং বদলের প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে ডেপুটেশন দেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
