
কলকাতা: তারা অনড়। তাই হাজারও ‘বলপ্রয়োগের’ পরে দাবি ভোলেনি চাকরিহারারা। ছাড়েনি ময়দান। এখনও বসে বিক্ষোভে। চোখে আশা, নতুন ভোরের। রবিবার সেই আন্দোলনরত চাকরিহারাদের সঙ্গেই দেখা করলেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
শিক্ষকদের আন্দোলন মঞ্চ থেকে পুনরায় আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবি তুললেন তারা। তোপ দাগলেন সিবিআইয়ের দিকে। এদিন তিলোত্তমার বাবা বলেন, ‘ওখানেও সিবিআই তদন্ত করছিল। কিন্তু ওরা ঠিক মতো রিপোর্ট পেশ করতে না পারায়, আজ এদের চাকরিটা চলে গিয়েছে। গোটাটাই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। আমার মেয়েটাও যেমন তার শিকার হয়েছে। এই শিক্ষক-শিক্ষিকারাও একই ভাবে ওই দুর্নীতির শিকার।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘এই শিক্ষকরাও এককালে আমার মেয়ের বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়েছে। রাজ্যের একাধিক স্কুলে যে আন্দোলন চলেছিল, তাতে এই শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অবদান রয়েছে। তাই আমরা তাদের বলেছি, এই লড়াই যেমন চালাচ্ছি। তেমন তারাও যেন লড়াইটা চালিয়ে যায়।’
দিন হোক বা রাত। বিকাশ ভবনের সামনের ফুটপাত ও রাস্তাই এখন চাকরিহারাদের স্থান হয়ে উঠেছে। দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিক, মাদুর এই সব পেতেই রাতভর তারা সেখানে বসে-শুয়ে রয়েছেন। তিলোত্তমার মায়ের মুখেও উঠে আসে সেই কথাটা। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের কারিগরীরা রাস্তায় প্লাস্টিক পেতে শুয়ে রয়েছে। এটা আমাদের লজ্জা। এর দায়টাই বা কে নেবে? এদের যে চাকরি গিয়েছে, তার নেপথ্যে দুর্নীতিরই দায়। শিক্ষকরা যেমন আমাদের পাশে ছিলেন। আমিও তাদের পাশে রয়েছি।’