কলকাতা: ‘একজন নয়, জড়িত রয়েছেন একাধিক…।’ এমনই সন্দেহ তিলোত্তমার মা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। ‘ভিতরের লোক জড়িত না থাকলে এতবড় অপরাধ সম্ভব নয়।’ যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি একা যৌন হেনস্থা ও খুন করতে পারেন না। নিশ্চিত ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। দাবি তিলোত্তমার মায়ের।
নির্যাতিতার মা বলেন, “মুখ্য়মন্ত্রী এসেই বলেছিলেন আসল দোষী ধরা পড়ে গিয়েছে। আমি বলেছি, নাহ আমি ওকে আসল দোষী মনে করছি না দিদি। ভিতরের কেউ না থাকলে ও কী করে জানল আমার মেয়ে সেমিনার রুমে রয়েছে? ম্যাডাম মাথা নিচু করে পুলিশকে বললেন, এটা আমারও প্রশ্ন।” তিনি আরও বলেন, “মেয়ের দেহ দেখে মনে হয়েছে একার দ্বারা কিছুতেই সম্ভব নয়। ফরেন্সিক বিভাগের অনেক চিকিৎসকরাও বলেছেন একার দ্বারা কিছুতেই সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পথে নামে মহিলা তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, শতাব্দী রায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র থেকে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। শাস্তির দাবির পাশাপাশি আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান মমতা। এর পিছনে বাম ও বিজেপিকেই নিশানা করেন মমতা। তাঁর দাবি, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে বাম-বিজেপি। কত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন মমতা।