
কলকাতা: বিয়ের কয়েকদিন পরই স্ত্রীকে নিয়ে দিঘায় গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সেদিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন ছিল। স্ত্রীকে নিয়ে জগন্নাথ দর্শন করেন, তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন। আর এই সাক্ষাৎ নিয়ে সে সময়ে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু সে সময়ে এই বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে। দিল্লি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে বেরনোর সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
দিলীপের পর এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারও। তিনি বলেন, “আমার ছেলে তো আজ আর নেই। আমার ছেলে কিন্তু বলে গিয়েছিল, বাবা কিন্তু কোনও ভুল করেনি। কারণ তৃণমূলের যাঁরা হিন্দু ভোটার, তাঁরা কিন্তু বিজেপিতে কনভার্ট হয়ে যাবে, বাবা ওখানে গিয়েছিল বলে। আমার ছেলের কথাটাই কিন্তু প্রমাণ হল। সত্যিই তো উনি কিন্তু কোনও ভুল করেননি।”
দিঘা সফরে গিয়ে দলের অন্দরে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দু’জনের প্রতিক্রিয়াতেই ধরা পড়েছিল অসন্তোষ। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট বলেছিলেন, দিলীপের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত, দল অনুমোদন করে না। আবার দিলীপের এই মমতা-সাক্ষাতে অন্য রাজনীতির গন্ধ পেয়েছিলেন প্রবীণ নেতা তথাগত রায়। দিলীপকে রাজ্য সভাপতি করা দলের বড় ভুল বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বাংলায় দলীয় নেতৃত্বের একেবারেই সমান্তরাল চিন্তাভাবনা নিয়ে চলা দিলীপ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, আসলে তাঁর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ আসলে দলের জয়! আর সেই জয়টাই ছিনিয়ে আনতে গিয়েছিলেন তিনি।