
কলকাতা: সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়ি ফেরা, রাতে রিঙ্কু মজুমদারের বাড়িতে পার্টি, আরও একটু বেশি রাতে ফ্ল্যাটে বেশ কয়েকজনের আসা, সকালে বিছানা থেকে উদ্ধার নিথর শরীর। সাপুরজি আবাসনের ই ব্লকের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতমের দেহ। বিছানার ওপর ছিল শরীর। এই মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে দিলীপের সঙ্গে যাঁরা প্রাতঃভ্রমণ করেন, তাঁরাই প্রথম প্রীতমের দেহ দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁরা যেভাবে দেহ দেখেছিলেন, তার বয়ান নেয় পুলিশ।
পুুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীতমের মোবাইল ছিল বালিশের পাশে। বাঁ পাশ থেকে বেশ কিছু ওষুধও উদ্ধার হয়। প্রীতম ড্রাগ অ্যাডিক্টেড ছিলেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রীতমের শরীরের বাঁ দিকে আঁচড়ের দাগ পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে নিউটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে, পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সৃঞ্জয়কে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়। শরীরে কীভাবে আঁচড়ের দাগ এল, তা খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসকরা।
পারিবারিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের। সোমবার রাতেও রিঙ্কু মজুমদারের মামার সঙ্গে কথা হয়। রাত ১১টা নাগাদ শেষ বার ফোনে কথা হয়েছিল। আজ সকাল ৮টায় পরিবারের সঙ্গেই বেরোনোর কথা ছিল রিঙ্কুর ছেলের।