কলকাতা: রীতি সাহার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশেই ভরসা পরিবারের। অন্ধ্র প্রদেশে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার নেতাজি নগর থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনমে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রীতি সাহার মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। ঠিক যেভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্য়ুর ঘটনায় তদন্ত এগোচ্ছে, একইভাবে বিশাখাপত্তনমেও বাংলার পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
অন্ধ্র প্রদেশে পড়তে গিয়েছিলেন কলকাতার নেতাজি নগরের রীতি সাহা। নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে বেসরকারি হস্টেলে থাকতেন তিনি। হস্টেলেই রহস্যমৃত্য়ু হয় রীতির। তাঁর পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে মেয়েকে। অন্ধ্র পুলিশে ভরসা পাচ্ছে না সাহা পরিবার। কলকাতা পুলিশেই ভরসা তাদের।
ইতিমধ্যেই বাংলার পুলিশ রীতি যে হস্টেলে থাকতেন, সেখানে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে। হস্টেলের তিনতলা থেকে ম্যানিকুইন ফেলে পুনর্নির্মাণ হয়েছে ঘটনার। মূলত পুলিশ দেখতে চাইছে, উপর থেকে কেউ ঝাঁপ দিলে কোথায় গিয়ে পড়ে। আবার ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে কতদূর গিয়ে পড়বে।
ঘটনার পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি বেঙ্কট রাম হাসপাতালেও গিয়েছিল বাংলার পুলিশ। রীতি পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে সেই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানতে চাইছে, হাসপাতালে চিকিৎসার কোনও ত্রুটি ছিল কি না।
১৪ জুলাইয়ের ঘটনা। বিশাখাপত্তনমের নরসিমানগরের সাধনা হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্য়ু হয় কলকাতার রীতি সাহার। নিট (NEET)-এর কোচিং নিতে বিশাখাপত্তনমে গিয়েছিলেন তিনি। কলেজের পাশেই হস্টেল। রীতির বাবা ইতিমধ্যেই বিশাখাপত্তনমের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করে উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।