কলকাতা: দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবোঝাই গাড়ির পিছনে ধাক্কা অ্যাম্বুলেন্সের। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় আহত অ্যাম্বুলেন্সের চালক, রোগীর আত্মীয়-সহ ৪। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। লরি এবং চালককে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ আটক করেছে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিটি কলেজের সাহারা ব্রিজের কাছে। বিমানবন্দরের দিক থেকে মধ্যমগ্রাম যাচ্ছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সটি। রোগী ও তাঁর আত্মীয়-সহ মোট পাঁচ জন ছিলেন পিছনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় রাস্তার ওপরে টায়ার ফেটে যাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক। রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়েছিল মাল বোঝাই একটি লরি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির পিছনে। দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। পিছনে থাকা রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের মুখে, মাথায় গুরুতর চোট লাগে।
আশঙ্কাজনক রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। চাকা ফেটে যাওয়াতেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, আবার বেপরোয়া পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় কুলতলিতে আহত হয়েছে দুই শিশু। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির কালীতলা এলাকায়। আহত দুই শিশু হল বছর সাতেকের বুলবুল মাইতি ও বছর চোদ্দোর সুপর্ণা নাঁইঞা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। দুর্ঘটনার পর গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে নিজেদের প্রথমে কুলতলি থানার পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দেন। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়িটি আটকে রাখেন। পড়ে কুলতলি থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে।