কলকাতা: একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায় আজ রাজনীতির ময়দানে। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। পে লোডারের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে যে ঘটনার সূত্রপাত, তাতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হন বিজেপি নেত্রী রূবি দাস। বিজেপি যখন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে, তখনই থানার ভিতরে গিয়ে বসে পড়েন রূপা। সেখানেই রাত কাটান তিনি। থানায় গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হল নেত্রীর? TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন রূপা।
রূপা জানিয়েছেন, থানার মধ্যে ১৭ ইঞ্চির একটা বেঞ্চ দিয়েছিল। তাতে ভয়ঙ্কর ধুলো। সেখানেই রাত কাটান তিনি। তাঁর গাড়িতে একটি বালিশ ছিল, সেটা নিয়েই শুয়ে পড়েন থানায়। তবে সমস্যা শুরু হয় সকালে। রূপা বলেন, “সারারাত জল খেয়ে কাটিয়েছি। সকালে তো বাথরুমে যেতে হবে। কিন্তু থানার বাথরুম তো খুবই অপরিষ্কার। অপেক্ষা করলাম। পরিষ্কার করার ছেলেটি এল। বললাম, আমি স্কচ ব্রাইট আনাচ্ছি। তুমি মেঝেটা পরিষ্কার কর, আমি বেসিন আর কমোডটা পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ছেলেটি অবশ্য করতে দেয়নি।”
বাথরুম পরিষ্কার হতে হতে যখন সময় গড়িয়ে যায়, হঠাৎ ওসি তখনই গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তাঁকে। রূপা বলেন, “হঠাৎ ওসি এসে বললেন অ্যারেস্ট… অ্যারেস্ট, অ্যারেস্ট। আমি তো অবাক। ওপর থেকে কেউ কিছু বলেছিল বোধ হয়। হুড়মুড় করে ওরা গাড়িতে তুলে দিল। উনি আমাকে ৫টা মিনিটও দেননি। বাথরুমেও যেতে দেননি। এক ঘণ্টা ধরে আবার লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হল। এই ঘটনায় আমি কষ্ট পেয়েছি। উনি এমন করবেন ভাবিনি।”
রূপার অভিযোগ, ওষুধ, ব্যাগ, জলও সে দিন নিতে দেননি ওসি। পুলিশের দাবি, রূপা সে দিন থানার কাজে বাধা দিচ্ছিলেন, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে জামিন পান তিনি।