Sacked Teacher: চাকরি বাতিল মামলায় গৃহীত হল না বিকাশের আর্জি, আদালতে বড় স্বস্তি রাজ্যের

Sacked Teacher: গত মাসে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেই ২০১৬ সালের এসএসসির প্য়ানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এক লহমায় চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বদল করা হয়েছিল।

Sacked Teacher: চাকরি বাতিল মামলায় গৃহীত হল না বিকাশের আর্জি, আদালতে বড় স্বস্তি রাজ্যের
চাকরি বাতিল মামলাImage Credit source: TV 9 Bangla GFX

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 07, 2025 | 11:15 AM

কলকাতা:  চাকরি বাতিল মামলায় রাজ্যের বড়সড় স্বস্তি। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের অবমাননার মামলায় রাজ্যের আবেদন সঠিক,  রায়ে জানাল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি  মহম্মদ শব্বর রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, চাকরি বাতিলের পর চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ও ওয়েমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ এটাও স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই কলকাতা হাইকোর্টের।

ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,  যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট কিছু রদবদল করেছে, তাই এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরত না দেওয়া এবং OMR শিট প্রকাশ না করার দায়ের হয় আদালত অবমাননার মামলা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেই ২০১৬ সালের এসএসসির প্য়ানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এক লহমায় চাকরি হারান ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বদল করা হয়েছিল।

যাঁরা ইতিমধ্যেই অযোগ্য বলে তথ্য সামনে এসেছে, অর্থাৎ যাঁরা ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট ‘অযোগ্য’দের বেতন ফেরানো-সহ একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশগুলো কেন কার্যকর হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল আদালত অবমাননার মামলা।

সেই মামলার শুনানিতে স্কুল শিক্ষাদফতরের বক্তব্য ছিল,  মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টে করতে হবে। যদিও আবেদনকারীদের মধ্যে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবি, যেহেতু নির্দেশের বিষয়বস্তুর উপর ব্যাপক অর্থে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের মূল উদ্দেশ্যে কোনও পরিবর্তন সুপ্রিম কোর্ট করেনি, তাই কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা করা যায়। কিন্তু বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিল, এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট।