Sacked Teacher: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও চাকরিহারাদের মনে থেকে গিয়েছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন! কোথায় কোথায় এখনও জট?

Sacked Teacher: তাঁদের বক্তব্য, একবার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণেই চাকরিহারা হতে হয়েছে, আবার যে একই প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করবে না, চাকরি হারাতে হবে না, তার নিশ্চয়তা রয়েছে কি? প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারারা। একই সঙ্গে চাকরিহারাদের প্রশ্ন, চিহ্নিত অযোগ্যদেরও কি পরীক্ষায় বসতে হবে?

Sacked Teacher: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও চাকরিহারাদের মনে থেকে গিয়েছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন! কোথায় কোথায় এখনও জট?
চাকরিহারা শিক্ষকরাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 28, 2025 | 1:08 PM

কলকাতা: পরীক্ষায় বসতে হবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে চাকরিহারাদের প্রতিক্রিয়া, এটাই তাঁদের মৃত্যু পরোয়ানা। কোনও পরিস্থিতিতেই পরীক্ষায় বসা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, একবার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণেই চাকরিহারা হতে হয়েছে, আবার যে একই প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করবে না, চাকরি হারাতে হবে না, তার নিশ্চয়তা রয়েছে কি? প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারারা। একই সঙ্গে চাকরিহারাদের প্রশ্ন, চিহ্নিত অযোগ্যদেরও কি পরীক্ষায় বসতে হবে? অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কি অযোগ্যদের জন্য? ওবিসি সংরক্ষণের কী হবে? সে সব প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারারা।

কোথায় কোথায় জট?

প্রথমত: মুখ‍্যমন্ত্রীর বার্তা দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের  নির্দেশ রয়েছে। তাই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই হবে। সেক্ষেত্রে চাকরিহারাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, এখন আর বলা যাবে না, চাকরি দেব না।

চাকরিহারারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনওভাবেই পরীক্ষা দেবেন না তাঁরা। ৭ বছর পড়িয়েছেন। যে প্রতিষ্ঠানেই একবার দুর্নীতি হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানে যে দ্বিতীয়বার দুর্নীতি হবে না, তার গ্যারান্টি কে দেবে? একই পদের জন‍্য বারবার পরীক্ষা কেন দেব?

দ্বিতীয়ত: মুখ‍্যমন্ত্রীর বার্তা দিয়েছেন,  যারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না (অযোগ্য), তাঁদের অন‍্য দফতরে ব‍্যবস্থা করবেন। মমতা জানান, যাঁদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে, চাকরি বাতিল করা হয়েছে, বলা হয়েছে চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, তাঁরা অন্য বিভাগে যোগ দিতে পারেন। কোর্ট বলেছে। শিক্ষা বিভাগে লোক প্রয়োজন। ঘর পরিষ্কার, ঘণ্টা বাজানোর লোক নেই, তালাবন্ধ করার লোক নেই। তিনি বলেন, ‘‘যেমন, অতিরিক্ত গ্রুপ সি, ডি নিচ্ছি। অনেকে শিক্ষা বিভাগে কাজ করছেন, অথচ চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা শিক্ষা বিভাগে আবেদন করতে পারেন। আরও তিন চারটি বিভাগে আবেদনের সুযোগ দেব। তবে আলাদা ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এর সঙ্গে ওটার সম্পর্ক নেই। গ্রুপ সি , গ্রুপ ডির টা আলাদা ভাবে করব। তিন চার-দিন পরে হবে। আগে শিক্ষকদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হবে।’’

চাকরিহারাদের বক্তব্য,  “সরকার প্রথম থেকেই অযোগ‍্যদের চাকরির নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যোগ‍্যদের বাঁচানোর চেষ্টা নেই। তাই আমাদের এই অবস্থা।”

তৃতীয়ত: মুখ‍্যমন্ত্রী এটাও বার্তা দিয়েছেন, অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

চাকরিহারাদের বক্তব্য,  আগে তো লিখিত পরীক্ষায় কাট অফ ক্লিয়ার করতে হবে। তারপরে অ‍্যাডভান্টেজ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁদের নতুনদের সঙ্গে পরীক্ষায় পেরে উঠব কী করে?

চতুর্থত: মুখ‍্যমন্ত্রী সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু চাকরিহারারা এটাও বলে দিয়েছেন, এই অসম্মান নিয়ে তাঁরা কিছুতেই স্কুলে যাব না। সরকার চাকরির নিশ্চয়তা দিক। তখন স্কুলে যাবেন।

চাকরিহারাদের প্রতিনিধি চিন্ময় মণ্ডল বলে দিয়েছেন, “প্রথমত রিভিউ, দ্বিতীয়ত পরীক্ষা। রিভিউতে কীভাবে জেতানো যায়, সেটা আগে দেখা দরকার। সেটাকেই পাখির চোখ করা দরকার। পরীক্ষা তো পরের ব্যাপার।”