Sacked teacher’s Reaction: ‘ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে যেন কয়েকদিন বাঁচিয়ে রাখা’, সুপ্রিম নির্দেশে বলছেন চাকরিহারারা
SSC Scam: সর্বোচ্চ আদালতের আজকের রায়ে কী বলছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা? তাঁদের একাংশের মত, "যেমন করে এক অসুস্থ রোগীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে কয়েকদিনের জন্য অসুস্থ রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়, তেমনই অবস্থা আমাদের।"

কলকাতা: আপাতত ন’মায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেতে পারবেন স্কুলে। বৃহস্পতিবার তেমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে ফের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশও বহাল রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের আজকের রায়ে কী বলছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা? তাঁদের একাংশের মত, “যেমন করে এক অসুস্থ রোগীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে কয়েকদিনের জন্য অসুস্থ রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়, তেমনই অবস্থা আমাদের।”
যোগ্য চাকরিচ্যুত এক শিক্ষিকা-শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের বলা হচ্ছে পরীক্ষা দিতে হবে। কেন বারবার আমাদের যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে। আজ থেকে দশ বছর আগে যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, আবার ভেরিফিকেশন, আবার ইন্টারভিউ…এই মানসিক অবস্থায় থেকে আমাদের পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া কতটা কষ্টকর।” আরও এক শিক্ষিকা বলেন, “রাজ্য সরকার তো বলেই ছিল যোগ্যদের লিস্ট দেওয়া হবে। আমরা তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছি যাতে বলে দেওয়া হয় এরাই যোগ্য।” অপর শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, “যোগ্য-অযোগ্য স্পষ্ট হল। অযোগ্যদের টার্মিনেশন লেটার ধরানো হোক। আমরা নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে যেতে চাই না।”
প্রসঙ্গত, আজ সুপ্রিম কোর্ট আগামী ন’মাসের জন্য চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে কাজে যোগ দিতে পারবেন না Group-C এবং Group-D কর্মীরা। অর্থাৎ, ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা স্কুলে গেলেও যেতে পারবেন না শিক্ষাকর্মীরা। এই রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেল রাজ্য। কারণ, ছাব্বিশ হাজারের চাকরি বাতিল হতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। এত জনের চাকরি চলে গেলে রাজ্যের স্কুল চলবে কীভাবে তা নিয়ে মামলা। আজ সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।





