কলকাতা: রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে নাম প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডের। টিভি ৯ বাংলার হাতে এল চার্জশিটের সেই এক্সক্লুসিভ কপি। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ ২ কোটি ২২ হাজারের বেশি টাকা গিয়েছে শ্রেয়ার দুই সংস্থায়। রোজভ্যালির টাকায় চিন সফরে ঘুরে এসেছেন শ্রেয়া। চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর।
ওড়িশার ভুবনেশ্বর আদালতে রোজভ্যালি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে এক নম্বরে নাম রয়েছে শ্রেয়া পাণ্ডের। ভুবচার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে, রোজভ্যালি থেকে সরাসরি শ্রেয়ার দু’টি সংস্থায় টাকা ঢুকেছে। এমনকী মন্ত্রী কন্যা ও তাঁর টিম যখন চিন সফরে গিয়েছিলেন সেই সময়ও তাঁদের খরচ অনেকাংশে বহন করেছিল রোজভ্যালি। এর পাশাপাশি মন্ত্রী কন্যা হওয়ার দরুণ প্রভাব খাটানোরও অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে।
রোজভ্যালি সংস্থার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন শ্রেয়া। মন্ত্রী কন্যার সংস্থাও কাজের বরাত পেয়েছিল রোজভ্যালি থেকে চার্জশিটে তেমনটাই উল্লেখ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে প্রাপ্য টাকার থেকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছিল তাঁর সংস্থাকে। সেই টাকাও তিনি ফেরাননি বলে খবর। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি রোজভ্যালি একটি চিটফান্ড সংস্থা জানার পরও শ্রেয়া সেই সংস্থার ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছেন। যদিও, সিবিআই চার্জশিট শ্রেয়া পাণ্ডের নাম থাকলেও ইডির চার্জশিটে নাম নেই তাঁর। এই বিষয়ে ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। বলেছেন, “এই চার্জশিট বহু পুরনো। এটা সকলেই জানে। রোজভ্যালি কেলঙ্কারিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন এক নম্বর। অভিযুক্ত জামিনে রয়েছেন। আর শ্রেয়া বেলে নেই।” তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “চার্জশিটে অনেক লোকের নাম রয়েছে। যেদিন তাপস রায়ের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি, ওনার ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সেদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তাপস রায় বরাহনগর পুরসভা এলাকার চাকরি চোর। এখন অবস্থান বদলেছে। সারা ভারতে এই রাজনীতি চলছে। যে বিজেপি নয় তাকে চোর বলে দাগিয়ে দাও। নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।”