কলকাতা: বাংলার নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমকালো অনুষ্ঠান। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। বিরোধী দলের কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে। জগদীপ ধনখড় পরবর্তী সময়ে আপাতভাবে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের বেশ মসৃণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বঙ্গ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও (Samik Bhattacharya) বলছেন, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চায় না বিজেপি। টিভি নাইন বাংলার কথাবার্তা অনুষ্ঠানে ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এই কথাই জানালেন শমীকবাবু। বললেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী কাজ করুক।’
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র বললেন, তাদের দল রাজ্যপালের বিরোধী নয়। সাংবিধানিক পদে যিনি রয়েছেন, তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদার পক্ষে বিজেপি। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করেন না। রাজ্যপাল কারও জন্য কাজ করবেন বা কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেবেন, এমনটা মনে করেন না শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, “রাজ্যপাল কাজ করবেন সংবিধানের জন্য। তিনি লক্ষ্য রাখবেন, রাজ্যের কোথাও সাংবিধানিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে কি না। নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে পুরো বিষয়টি তিনি দেখবেন।”
যদিও রাজ্যপালের এই হাতেখড়ির অনুষ্ঠান রাজ্যের মানুষের কাছে একটি ভাল বার্তা যেতে পারত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষিত আলাদা। বললেন, “এটি আনুষ্ঠানিক হাতেখড়ি হত, যদি এখানে স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকত। তা নেই বলেই আজ বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।” তাঁর কথায়, ভিন রাজ্যের একজন মানুষ এসেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তাঁর বহু কৃতিত্ব রয়েছে সমাজ জীবনে। তিনি দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন। একজন অতি দক্ষ আইএএস অফিসার। তিনি এসে বাংলা ভাষা শিখতে চেয়েছেন। একটি ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে চেয়েছেন। যেভাবে একটি ভাষাশিক্ষার সূচনা হয়, সেই অনুষ্ঠানকে বেছে নিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে একটি একটি ভাল বার্তা যেত।