
কলকাতা: দলীয় কর্মসূচিতে চেয়ার পাননি। দিল্লি সফরে গিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল আক্ষেপ। সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ফাঁকে মাঝেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া একটা কথায় গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। কবে তিনি দলীয় কর্মসূচিতে চেয়ার পাননি? আর সেটা কার আমলে? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠতে শুরু করে, সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন কি কোনও কর্মসূচিতে গিয়ে চেয়ার পাননি দিলীপ ঘোষ? এসব জল্পনার মাঝেই বিজেপি সদ্য নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নতুন-পুরনোকে চলার বার্তা নিয়ে সমস্ত বিতর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, অত্যন্ত সচেতনভাবে সাবধানী পদক্ষেপ করছেন শমীক। যাতে কোনওভাবেই দলের পুরনো নেতাদের মনক্ষুন্ন না হয়। আর যেন এহেন আক্ষেপ বা অনুযোগ না শোনা যায় কারও মুখে।
আজ, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করেছেন শমীক। বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। উত্তর আর দক্ষিণ দিনাজপুর বাদে বাকি সব জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সূত্রের খবর, একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন শমীক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সেই জেলা আপাতত শমীকের সফরে নেই।
এই বৈঠকের ক্ষেত্রে পুরোনোদের যেন ডাকা হয় সেই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে পুরোনোদের সামনে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। সেইভাবেই তাঁদের আমন্ত্রণ করার জন্যই নির্দেশ দিয়েছেন নতুন সভাপতি বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
নতুন সভাপতির নির্দেশ ফলিত স্তরে কতটা কার্যকর হয়, সেদিকেই নজর রয়েছে বিজেপি নেতা কর্মী থেকে রাজনীতির কারবারিদের অনেকের। সভাপতি পুরোনোদের সম্মান দিতে চেষ্টা করেছেন। তার বাস্তব রূপায়ণ ইতিমধ্যেই করতে শুরু করেছেন শমীক।
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহাকে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস মিট করানো হয়েছে। আর তা হয়েছে শমীকের নির্দেশেই। যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি দেবজিত সরকারকে সাংবাদিক বৈঠক করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন শমীক। শমীকের জমানায় দিলীপকে ঠিক কী ভূমিকায় দেখা যায়, এখন সেটাই দেখার।