কলকাতা : রামপুরহাটের হত্যাকান্ড নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত তুলোধনা করল রাজ্য সরকারকে। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, খাদানের উপর কোন গোষ্ঠীর দখল থাকবে, তাই ঘিরেই তৃণমূলের কোন্দল। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল তৃণমূলকে মারছে খাদানের জন্য। সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বাবু বলেন, “বুদ্ধিজীবীরা উত্তর প্রদেশ আর বিহার নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতেই আইসিকে ক্লোজ করা হচ্ছে। মানুষ ক্লোজ চাইছেন না। পানিহাটি, ঝালদা কী দেখাল! সিউড়িতে বোমা পড়ছে। কারা তারা? মানুষ চেনে। গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম উপভোগ করিয়েছে মিডিয়া। তিনি পুরভোট শান্তিপূর্ণ করব বলেও কী করেছেন সবাই জানে। বিরোধী নেই বলে আজ তৃণমূল তৃণমূল মারছে। শিশু পুড়িয়ে মারার সংগঠন আমাদের নেই। খাদান দখলদারির জেরে এই গণহত্যা।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, “সুজপুর, নেতাই, ছোটা আঙাড়িয়া, গড়বেতায় আজকের মুখ্যমন্ত্রী গণহত্যা বলে ৩৫৬ এর দাবি জানিয়েছেন। অতীতের বিরোধী দলনেত্রী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ডেকেছিলেন। আজ সেই তৃণমূল ২০১১ তথাকথিত পরিবর্তনের পর গণতন্ত্র লুঠ করছে। ৫৬ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। এবার দেখা গেল তৃণমূল তৃণমূলকেই খুন করছেন। শেখ ভাদু কে, বীরভূম জানে। সমাজবিরোধীদের কার্যকলাপ বন্ধ করেছিলেন আইসি আবু সালেম। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়ায় ট্রান্সফার করা হয়। এখন পুলিশ সেফ প্যাসেজ দিয়ে ভাদু শেখের অনুগামীরা হামলা চালাল৷”
এর পাশাপাশি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও দাবি করেন তিনি। বলেন, “কেন্দ্রীয় দল আসুক। রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করুক। সিবিআই তদন্ত চাই এই ঘটনায়। শর্ট সার্কিট বলছেন তৃণমূল নেতা। এখানে মামলায় প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠে প্রতিবাদ চাই। বীরভূম অস্ত্রাগার হয়ে উঠেছে৷ বোমা গুলি ভরতি। এনআইএ তদন্ত দাবি করছি আমরা।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “মানুষের পুলিশে আস্থা নেই। ফিরহাদ হাকিম শর্ট সার্কিট দেখাতে গিয়েছেন। অরাজনৈতিক মোড়ক দিচ্ছেন৷ আমরা চাই সংসদ থেকে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল আসুক। এনডিএ বিরোধীরাও রামপুরহাট আসুক, সেটাই চাই।”