ব্রিকস সম্মেলনে সনাতন! এবার প্রধানমন্ত্রীর নামও জুড়লেন ভুয়ো মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা

Sanatan Roy Chowdhury: সনাতন আদতে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। কিন্তু বেশ কয়েকমাস যাবৎ তিনি দাবি করে আসছিলেন, রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য, সিবিআইয়ের আইনজীবী, মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা হিসাবে।

ব্রিকস সম্মেলনে সনাতন! এবার প্রধানমন্ত্রীর নামও জুড়লেন ভুয়ো মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা
এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 10:49 AM

কলকাতা: দেবাঞ্জন না সনাতন- কে বড় খিলাড়ি? এবার প্রশ্ন উঠছে সেটাই। সনাতন (Sanatan Roy Chowdhury) সম্পর্কে যতই জানতে পারছেন তদন্তকরীরা, চোখ উঠছে কপালে। জেরায় সনাতন দাবি করেছেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে গিয়েছিলেন। যে সম্মেলনে হাজির ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও।

দেবাঞ্জনের পর পুলিশের জালে আরেক ভুয়ো আধিকারিক। তদন্তকারীরা বলছেন, তাঁর হাতও অনেক দূর। সনাতন রায়চৌধুরী দেশ-বিদেশের একাধিক জায়গায় গিয়েছেন বলে জেরায় দাবি করেছেন। কিন্তু সনাতন যা দাবি করছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো জল অনেক দূরই গড়াবে, আশঙ্কা তদন্তকারীদের। কারণ কীভাবে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে ব্রিকস সম্মেলনে গেলেন? কার কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। সনাতনের প্রভাবশালী যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু এখন খোঁজ চলছে নামের।

সনাতন আদতে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। কিন্তু বেশ কয়েকমাস যাবৎ তিনি দাবি করে আসছিলেন, রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য, সিবিআইয়ের আইনজীবী, মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু শেষের দাবিটি করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েছিলেন সনাতন। তালতলা থানার ওসির কাছে গত ২৫ জুন সনাতন ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী দফতরের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশ কর্তার। তিনি একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন।

এরপর গোটাটা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ৩০ জুন। গড়িয়াহাট থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে গড়িয়াহাটের একটি ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিলেন সনাতন। মঙ্গলবার সিঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয় সনাতনকে।

আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতাতে রাজভবনের ঠিকানা ব্যবহার! বিচারপতির সই পর্যন্ত জাল করেন ভুয়ো অফিসার সনাতন

তদন্তে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতির সই এবং সিল জাল করে ভুয়ো কোর্ট অর্ডার বের করে নিয়েছিল সনাতন। সেই জাল নথি দিয়ে সম্পত্তি হাতানোরও চেষ্টা হয়েছিল। ৮ ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের মালিক পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ২৭ জুন তিনি একদিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, পরিবার সূত্রে পাওয়া ওই সম্পত্তির অন্দরে থাকা অফিসে জাঁকিয়ে বসে রয়েছেন ধৃত সনাতন রায়চৌধুরী। তিনি নিজেকে ‘ডক্টর’ বলেও পরিচয় দেন। সম্পত্তির মালিককে সনাতন জানান, হাইকোর্টের অর্ডার পেয়ে এই সম্পত্তি তিনি দখল করেছেন। এরপরই ওই মালিক গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।