কলকাতা: প্রায় সাড়ে আট মাস অতিক্রান্ত। হকের ডিএ-র দাবিতে (DA Protest) টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutha Mancha)। ২৫৮ দিন ধরে চলছে অবস্থান-মঞ্চ। সুরাহা এখনও মেলেনি। পুজোর মুখে এবার রাজ্য সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে তৎপর মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনকারীরা। পুজোর আগে ১০-১১ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দাবি পূরণ না হলে পুজোর পর আন্দোলনকে আরও ব্যাপক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, দাবি না মিটলে পুজোর পর লাগাতার ধর্মঘটের জন্য সরকার যেন প্রস্তুত থাকে।
কিছুদিন আগে ১০০ দিনের কাজে বকেয়া আদায়ের ইস্য়ুতে রাজভবনের বাইরে তৃণমূলের ধরনা-মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে ভাস্করবাবু ঘোষণা করে দিলেন, কালীপুজোর পর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফেও রাজভবনের দক্ষিণ দিকের গেটের বাইরে অবস্থান শুরু করা হবে। একইসঙ্গে নবান্নের বাইরেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন না। তাঁদের দাবি, রাজ্যপালের পৌরহিত্যে সরকারের সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। একইসঙ্গে নবান্নেও সরকারকে তাঁদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের দাবি তুলছেন ভাস্কর ঘোষরা। যদিও দিনক্ষণ এখনও স্থির করা হয়নি। তবে ভাস্কর ঘোষ জানাচ্ছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়ে চিঠি পাঠাতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ইতিমধ্যেই ধর্মঘট, কর্মবিরতি, পেনডাউন… একের পর এক কর্মসূচি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। রাজ্য সরকার চলতি অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশের সময় ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনড় আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। এদিকে রাজ্য সরকারও নিজেদের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর থেকে বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।