Calcutta High Court: তিনি ‘ডাক্তার’, রেজিস্ট্রেশন ফিরে পেতে হাইকোর্টে ছুটলেন শান্তনু সেন

Calcutta High Court: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর গতকাল শান্তনু সেন দাবি করেছিলেন, তাঁর ডিগ্রি বৈধই। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনও করেছিলেন। আরটিআই-ও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনই উত্তর পাননি।

Calcutta High Court: তিনি ডাক্তার, রেজিস্ট্রেশন ফিরে পেতে হাইকোর্টে ছুটলেন শান্তনু সেন
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শান্তনু সেনImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 04, 2025 | 12:25 PM

কলকাতা: ২ বছরের জন্য তাঁর ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এর বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শান্তনু সেন। রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। আগামী সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে তাঁর আবেদনের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে ‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ নামে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তাঁকে নোটিসও পাঠিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আর বৃহস্পতিবার তলব পেয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন শান্তনু। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তারপরই তাঁর রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ২ বছর চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি

গতকাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় জানান, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করিয়েই বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাঁর রেজিস্ট্রেশন ২ বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। শান্তনুর রেজি তৃণমূলের আর এক চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি বলেন, “শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা ঠিক সিদ্ধান্ত।”

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর গতকাল শান্তনু সেন দাবি করেছিলেন, তাঁর ডিগ্রি বৈধই। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনও করেছিলেন। আরটিআই-ও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনই উত্তর পাননি। তাঁর কথায়, “আমার রেডিওলজির যোগ্যতা রয়েছে। যদি অন্যায় করতাম, আমি আমার অজ্ঞতাটা মেনে নিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলে যেতাম।” এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন এই তৃণমূল সাংসদ। আগামী সোমবার মামলার শুনানি। হাইকোর্ট রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলে, সেটাই এখন দেখার।