কলকাতা: পুজোর চারটে দিন তাঁর পরিচয় কোনও রাজনীতিক নয়, পুজোকর্তা। তিনি সজল ঘোষ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর মূল উদ্যোক্তা তিনিই। ষষ্ঠীর সকালে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল সজলকে। পাড়ার লোকজনের সঙ্গে খোশ আড্ডা, বন্ধুদের ‘লেগ পুলিং’য়ে মজে কলকাতার কাউন্সিলর সজল। শুধু বন্ধুদের নিয়েই নয়, স্ত্রীকে নিয়েও খুনসুটি বাদ নেই। প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুজো প্যান্ডেলে তো সকাল থেকেই বাড়ির গিন্নিরা। রান্নাবান্না করবেন কে? সজল ঘোষ খাবেনই বা কী? প্রশ্ন শুনেই সজলের সরস জবাব, “আমার থেকে আমার বউ বেশি খায়। তাঁর চিন্তা বেশি। আর কিছুর বলারই নেই।”
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই পুজোর কলকাতায় রাম মন্দির করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। সেই পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব মিলিয়ে এবার প্রথম থেকেই জমজমাট সজল ঘোষের পুজো।
সকাল থেকে ভিড় পুজো প্যান্ডেলে। দিনেরবেলা একরকম সৌন্দর্য এই পুজোমণ্ডপের। রাতেরবেলায় আলোর খেলায় আবার অন্যভাবে অনন্য। সজল ঘোষের কথায়, “আসলে ওভার অল ভাল হয়েছে। রাতেও যেমন আলাদা শোভা আছে, দিনেরবেলাও পাশ থেকে ছবি তুললে বুঝতে পারবেন না এটা আসল না নকল। মানুষ সবটাই দেখতে আসছেন।”
কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে এ বছর যে কয়েকটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে, তার মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার যেমন আছে, তেমনই আছে শ্রীভূমির পুজোও। মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো এটি। শ্রীভূমির ভিড় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সজলকে।
সজল ঘোষ বলেন, “শ্রীভূমি, মরুভূমি সবাই জনসমুদ্রে ভাসুক। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার নিশ্চয়ই তাদের উপরে থাকবে। তাদের মধ্যে থাকবে। এটাই প্রত্যাশা। সবার পুজোতেই ভিড় হোক। শুধু আমাদের পুজোতেই ভিড় হবে সেটা তো কাম্য না।” একইসঙ্গে সজল বলেন, খুব ইচ্ছা করে শহরের বাকি পুজোগুলোও দেখতে। তবে সে আশা আশৈশব কোনওদিনই পূরণ হয়নি। কারণ, এই পুজো ঘিরেই তাঁর বেড়ে ওঠা।