কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। বিরোধীদের দাবিকেই শিলমোহর দেয় আদালত। তবে রাজ্য আস্থা রেখেছিল পুলিশের উপরই। সোমবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভোটের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর বক্তব্য, শুধু বুথে নয়, জনসাধারণের বাড়িতেও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়, তাও বিরোধীরা জিতবে কি না সন্দেহ।
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে লাগাতার অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। বোমা-গুলি তো তুচ্ছ ঘটনা। মৃত্যুর খবর পর্যন্ত সামনে আসে। তখন থেকেই বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায়। কিন্তু বাহিনী দিয়ে ভোট! বিষয়টিকে ইস্যু করে সরব হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকদ্বীপের সভা থেকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘কাঁচকলা’ করবে”। শুধু তাই নয়, অতীতে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট বাহিনী দিয়ে করিয়ে কী হাল হয়েছিল সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন মমতা।
এবার দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে শওকত বললেন,”ওরা (বিরোধী) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুব উৎসাহিত হচ্ছে। ভাঙড়-ক্যানিংয়ে শুধু বুথে নয়, প্রতিটি বাড়িতে মোতায়েন করা হোক বাহিনী। তাহলে অনেকটা ভাল হবে। বোঝা যাবে মানুষ সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস-আইএসএফ- এর সঙ্গে রয়েছেন নাকি তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন।”
উল্লেখ্য, ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আগেই জলঘোলা হয়েছিল। মনোনয়ন পর্বে প্রাণ হারা তিনজন। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন তৃণমূল কর্মী। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শওকত অভিযোগ করে বলেন যে নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বিজেপি-র। যদিও, এর কিছুক্ষণ পর বিধানসভার বারান্দায় হাসি মুখে দাঁড়াতে দেখা যায় শওকত ও নওশাদকে। উভয়ই একে অপরকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেন। ভোটের সময় ভাঙড়ে কোনও গণ্ডগোল হবে না, শান্তি বজায় থাকবে তাও আশ্বাস দেন তাঁরা।