Sashi Panja On Governor: ‘সন্দেশখালির মহিলারা কি জানেন, যাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনিও একই দোষে দুষ্ট’, রাজ্যপালকে খোঁচা শশীর

Sashi Panja On Governor: বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী মহিলা অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল তাঁর দু'বার শ্লীলতাহানি করেছেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় তিনি এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারিনীর পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যপালের ভূমিকায় সোচ্চার হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

Sashi Panja On Governor: সন্দেশখালির মহিলারা কি জানেন, যাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনিও একই দোষে দুষ্ট, রাজ্যপালকে খোঁচা শশীর
রাজ্যপালকে খোঁচা মন্ত্রী শশী পাঁজারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 03, 2024 | 1:10 PM

কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানায়। এই অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সোচ্চার হয়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার সোচ্চার নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যপালের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে তাঁর মন্তব্য, সন্দেশখালির মহিলারা কী জানেন যাঁর কাছে তাঁরা নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন, তিনিও একই দোষে দুষ্ট!

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে শশী পাঁজা বলেন, “যে ঘটনাটা ঘটেছে, যে মহিলা আক্রান্ত, তাঁর কান্নায় আমরা বিস্মিত, স্তম্ভিত। তিনি গরিব, তাঁর অস্থায়ী চাকরির স্থায়ীকরণ চেয়েছিলেন আর তার বদলে যে জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে, ভয়ঙ্কর। রাজভবন, রাজ্যপালের তেয়ারের একটা গরিমা থাকে। সেই জায়গায় যদি এরকম অভিযোগ ওঠে, সেটা লজ্জার। রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কিংবা তাঁর অফিসের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হচ্ছে।”

এরপরই শশী পাঁজা বলেন, “রাজ্যপাল তো সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলে এসেছিলেন মহিলার অসম্মান, অপমান করা যায় না। তা মেনে নেওয়া হবে না। সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ শুনেছিলেন তিনি।” শশীর খোঁচা, “যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন সে সময় আপনাকে, তাঁরা কি জানেন আপনার বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ?”

মহিলার অভিযোগের বর্ণনা দিতে গিয়ে শশী পাঁজা বলেন, “পিস রুমে ওই মহিলা তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছিলেন। এবং এই ধরনের অভিযোগ আরও কয়েকজন মহিলা করছেন। এই একবার নয়, একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।”

ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল এখন বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তাঁর যদি বিবেক থাকে তাহলে নিজে কি জবাব দেবেন সেটা দেখুন।  সংবিধানের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে কথা বলা আছে। কিন্তু এটা কি তাঁর সাংবিধানিক অধিকার ছিল? রাজ্যপাল এই ইমিউনিটি পায় কী করে, একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার জিজ্ঞাসা।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী মহিলা অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল তাঁর দু’বার শ্লীলতাহানি করেছেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় তিনি এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারিনীর পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যপালের ভূমিকায় সোচ্চার হয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার পরই রাজভবনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া রাজভবনে ‘নিষিদ্ধ’ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাজভবনে। সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন,  “যে রাজভবনে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমরা যাব কি না, সেটা ভেবে দেখব।”

যদিও রাজ্যপালের তরফ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়েছে,  ভোটের বাংলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। রাজ্যপালের কথায়, ‘সত্য সামনে আসবে।’ বিতর্কের মাঝেই শুক্রবার সকালে আবার কলকাতা ছাড়েন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজ্যপাল কোচি গিয়েছেন।