কলকাতা: বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয় (Bowbazar Metro Mishap) পর মেট্রো ও রাজ্যের মধ্যে বল ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছিল। মেট্রোর থেকে বলা হয়েছিল, রুট পরিবর্তনের জন্যই বার বার বিপর্যয়। আবার বউবাজার এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য ছিল, পুরো দায়টাই মেট্রোর। এবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য মেট্রোর প্রতি ‘সহানুভূতি’র কথা শোনালেন। সৌগত রায় বলেন, “অধিকাংশই খালি জায়গার মধ্যে দিয়ে হচ্ছে। গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট খালি জায়গার মধ্যে দিয়ে হচ্ছে। জোকা থেকে ময়দান, সেটিও ময়দানের মধ্যে দিয়ে এসেছে। একটি মেশিনকে মাটিতে নামানো হয়। টানেল বোরিং মেশিন। বিরাট মেশিন। সেটিই চলতে চলতে এগোয়। এই টানেল বোরিং মেশিনই গঙ্গার তলার সুড়ঙ্গ করে দিল। প্রযুক্তিগত এক্সিলেন্সকে আমরা প্রশংসা করি না। কোথাও গন্ডগোল হলে আমরা সমালোচনা করি।”
যদিও বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, “অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। বউবাজারের ওইটুকু এলাকা… শিয়ালদহ থেকে চিত্তরঞ্জন এভিনিউ পর্যন্ত। যেখানে রাস্তা ছোট। চারপাশে অনেক পুরনো বাড়ি আছে। সেখানে এটি হচ্ছে। আমি নিশ্চিত মেট্রো এটি ঠিক করবে। কিন্তু একটি বড় প্রোজেক্ট তো। সেখানে কিছু কিছু সমস্যা হয়। আমার সহানুভূতি আছে, যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের প্রতি। আমার সহানুভূতি আছে মেট্রোর দিকে। তারা অসাধারণ কাজ করেছে। আপনারা সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ যান না, দেখবেন কী অসাধারণ একটি মেট্রো বানিয়েছে। দক্ষিণেশ্বের যান না দমদম থেকে, কী সুন্দর মেট্রো তৈরি হয়েছে। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা যোগ্য। কোথাও প্রযুক্তিগত ভুল হয়ে থাকতে পারে। সেটি ঠিক করতে হবে। ক’টা বাড়ি ভাঙছে বলে প্রোজেক্টটা তো ছেড়ে দেওয়া যায় না।”
তাঁর আরও বক্তব্য, “জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেটিতে কোথাও ভুল আছে কি না, তা দেখতে হবে। আমি নিশ্চিত যেটুকু সমস্যা হচ্ছে তা মেট্রো তা শুধরে নেবে।” বিধায়ক তাপস রায় অবশ্য ঘটনার পর দায় ঠেলেছেন মেট্রোর দিকে। যদিও সৌগত রায় বলেন, “আমাদের দলের বিধায়ক হোক, বা যে কোনও জনপ্রতিনিধি, তাঁদের তো দাঁড়াতেই হবে। মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ফিরহাদ হাকিম গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছেন। সেটি আমাদের করতেই হবে। কিন্তু কিছু সমস্যা হলেই তো হাজার হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট বাতিল করে দেওয়া যায় না।”