Saukat Molla: ‘নওশাদকেই চাই’, ছাব্বিশে মমতাকে ভাঙড় উপহার দিতে চান শওকত

Saukat Molla: দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামীণ জনপদ ভাঙড়ের নাম বাংলার রাজনীতিতে বার বার উচ্চারিত হয়েছে। প্রথমে এর দখল ছিল কংগ্রেসের হাতে। তার পরে বামেদের দাপট। গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একমাত্র আসন যেখানে বিরোধীপক্ষ জিতেছে। 

Saukat Molla:  নওশাদকেই চাই, ছাব্বিশে মমতাকে ভাঙড় উপহার দিতে চান শওকত
নওশাদকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শওকত মোল্লারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 30, 2025 | 12:06 PM

কলকাতা: ছাব্বিশের নির্বাচনে ‘ভাঙড়’-চ্যালেঞ্জ শওকত মোল্লার। ভাঙড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নওশাদ সিদ্দিকেই চান শওকত মোল্লা। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তেমনটাই দাবি করলেন শওকত। আর এই প্রসঙ্গে তুলে আনেন দলের নেতা কাইজারের কথাও। তাঁর বক্তব্য, গত নির্বাচনে দলেরই কয়েকজন হারিয়ে দিয়েছিল। এবার ছাব্বিশের নির্বাচনে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাঙড়ই উপহার দেবেন, বললেন শওকত মোল্লা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামীণ জনপদ ভাঙড়ের নাম বাংলার রাজনীতিতে বার বার উচ্চারিত হয়েছে। প্রথমে এর দখল ছিল কংগ্রেসের হাতে। তার পরে বামেদের দাপট। গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একমাত্র আসন যেখানে বিরোধীপক্ষ জিতেছে।  যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপি নয়, বরং গত বিধানসভা নির্বাচনে সদ্য জন্ম নেওয়া আইএসএফ জেতে, তরুণ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির হাত ধরে। কিন্তু আবার ছাব্বিশের নির্বাচনে ভাঙড় নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী শওকত মোল্লা।

শওকত মোল্লা বলেন, “আমরা চাই নওশাদ প্রার্থী হোক। কারণ ২০২১ সালেও নওশাদ ওখান থেকেই ঘুঁটি জিতত না। নেত্রীকে শিক্ষা দিতে গিয়ে তথাকথিত দু’চার জন নেতা নওশাদকে জিতিয়ে দিয়েছিল। সংখ্যালঘুদের শত্রু হচ্ছে সংখ্যালঘু।” তাঁর কথায়, “বিজেপির হাতটা যদি শক্তিশালী করতে হয়, নওশাদের মতো এরকম দু-চার জন রয়েছেন, তাঁরা সেটায় ভীষণভাবে সক্রিয়।”

নওশাদকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “ভিতরে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি করবেন, আর বাইরে এসে সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না কাঁদবেন, এই মুখ আর মুখোশ মানুষ বুঝতে পারছে।” তাঁর কথায়, “আজকের দিনে বাংলার গোয়েবেল হলেন নওশাদ। টুপি মাথায় দিয়ে সংখ্যালঘুদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা গোয়েবেলসের থেকে কোনও অংশে কম নয়।”

দলের নেতা কাইজারের সঙ্গে গত কয়েক দিনে দ্বন্দ্বের কথা একাধিকবার সামনে এসেছে। শওকতের কথায়, “কাইজারদের মতো কয়েকজন নেতার ২-৩ বছর ধরে দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। নাটক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”