কলকাতা: তৃতীয়বার যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণার পরও সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এলেন সৌমিত্র খাঁ। বুধবার দুপুরে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রথমে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা তিনি ঘোষণা করেছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তিনি জানান, ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন। দলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই ইস্তফা দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহার করছেন বলে জানান সৌমিত্র। মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে পদত্যাগ এবং তা প্রত্যাহার করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
ফেসবুকে একটি নতুন পোস্ট করে বুধবার রাতে সৌমিত্র লিখেছেন, “বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ, অমিত শাহজি এবং তেজস্বী সূর্যজির নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমি পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।” সৌমিত্র যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র এ দিন রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠাননি। ফলে আদৌ তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সেই বিষয়টি নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কারণ এভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে পদত্যাগ করা বিজেপির সাংগঠনিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। এর আগেও নানা ঘটনার প্রেক্ষিত তিনি একই ভাবে পদত্যাগ করেও তা প্রত্যাহার করেছিলেন। এ বারও কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
আরও পড়ুন: ‘ওঁ আমার ভাই, ওঁর বাড়িতে খাই’, সৌমিত্রর আক্রমণকে ‘সিরিয়াসলি’ নিলেন না শুভেন্দু
কিন্তু কেন আচমকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌমিত্র? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার সুপ্ত বাসনা ছিল সৌমিত্ররও। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও যখন, দিল্লির ডাক আসেনি, তখন যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আসলে নিজের অসন্তোষ তুলে ধরেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। লাইভে এসে বিরোধী দলনেতাকে রীতিমতো তুলোধোনা করেন তিনি। যদিও এর পালটা শুভেন্দু কোনও ঝাঁঝালো প্রতিক্রিয়া দেননি। বরং সৌমিত্রকে নিজের ‘ভাতৃসম’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ওই ফেসবুক লাইভকে ‘সিরিয়াসলি’ নেন না।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু, তার জন্যই…’ বিস্ফোরক সৌমিত্র