কলকাতা: স্কটিশ চার্চ কলেজে ভয়ঙ্কর ঘটনা। এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ। কাঠগড়ায় শারীরশিক্ষার অধ্যাপক। অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে উত্তাল স্কটিশ চার্চ কলেজ।
অভিযোগ, শারীরশিক্ষা বিভাগের ওই অধ্যাপক মূলত দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদেরই টার্গেট করতেন। তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। এই অছিলায় তাঁদের অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন বলে অভিযোগ। এরকম একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্রছাত্রীরা সংগঠিতভাবে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এরই প্রতিবাদ এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা।
বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী বলেন, “ওই ছাত্রী যখন ফর্মালি অভিযোগ জানায়, তখন আমরা সবাই বিষয়টা জানতে পারি। পাঁচ ছ’দিন ধরে কলেজে এই বিষয়টা শোনা যাচ্ছিল। আমাদের জবাব চাই, কর্তৃপক্ষ আদৌ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?” জুন-জুলাই মাস থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশটও কলেজে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে নোটিস টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্কটিশচার্চের মতো কলেজে এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চায়নি। বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে দেখা হচ্ছে।