Haunts in West Bengal Assembly: রাত বাড়লেই বিধানসভায় ‘দেখা দিচ্ছে’ কিশোরী, ‘ছায়ার তাণ্ডবে’ নাইট ডিউটিতে ভয় নিরাপত্তারক্ষীদের

West Bengal Assembly News: ইতিমধ্যে বিধানসভার ওই অংশে নাইট ডিউটি করতে অনীহা প্রকাশ করছেন একাংশের নিরাপত্তারক্ষীরা। গোটা বিষয়টা সম্পর্কে জানানো হয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন তিনি বলেন, 'এত বড় জায়গা, এত বড় বিল্ডিং, দু-একজন লোক থাকলে ভয় হবেই। মানসিক চাপ তো থাকে। তবে সেটা ভূতের চাপ কি না আমি জানি না।'

Haunts in West Bengal Assembly: রাত বাড়লেই বিধানসভায় দেখা দিচ্ছে কিশোরী, ছায়ার তাণ্ডবে নাইট ডিউটিতে ভয় নিরাপত্তারক্ষীদের
বিধানসভায় 'আতঙ্ক'Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Oct 30, 2025 | 6:48 PM

কলকাতা: অন্ধকারে কার হাতছানি? কল্পনা নাকি কোনও রহস্য? বিধানসভার অন্দরে উড়ে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্নগুলিই। রাতে থাকতে চাইছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের যেন ঘিরে ধরছে কোনও ‘অচেনা ভয়’। কিন্তু হঠাৎ কী হল সেখানে? যে বিধানসভা উত্তাল হয় অধিবেশনের সকালে? সেই বিধানসভায় রাতে এটা কাঁদের আনাগোনা? নৈশ দায়িত্বে কর্তব্যরত থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, ‘ছায়ামূর্তি’। ইতিমধ্যেই স্পিকারকেও এই নিয়ে অবগত করেছেন তাঁরা।

দীর্ঘদিন ধরেই শুধুমাত্র কেয়ারটেকররা রাতে থাকতেন বিধানসভায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে পরিবর্তন হয়েছে সেই ব্যবস্থায়। নিরাপত্তার খাতিরে শুরু হয়েছে নাইট ডিউটি। রাতেও থাকতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের। আর সেই ডিউটি করতে গিয়ে এক কিশোরীর ছায়া মূর্তি প্রত্যক্ষ করেছেন বলে দাবি বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা একাংশের।

তাঁদের কথায়, বিধানসভার মূল যে ভবন, সেখানে দোতলায় সেই ছায়ামূর্তি দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, প্রথম তলাতেও এই ছায়ামূর্তি মাঝে মধ্য়ে উদয় হয়। কিন্তু এও কি সম্ভব? ইতিমধ্যে বিধানসভার ওই অংশে নাইট ডিউটি করতে অনীহা প্রকাশ করছেন একাংশের নিরাপত্তারক্ষীরা। বিধানসভা চত্বরে রাতে থাকা নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তা কানে ওঠে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন তিনি বলেন, ‘এত বড় জায়গা, এত বড় বিল্ডিং, দু-একজন লোক থাকলে ভয় হবেই। মানসিক চাপ তো থাকে। তবে সেটা ভূতের চাপ কি না আমি জানি না।’

বিধানসভায় এই ছায়ামূর্তি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আজকের নয়। কেউ কেউ বলেন, প্রায় পাঁচ দশক আগে ছায়ামূর্তির জন্য বিধানসভার এক কেয়ারটেকার অধিবেশন কক্ষের দোতলা থেকে নীচে অর্থাৎ যেখানে অধিবেশন চলে, সেখানে ঝাঁপ দেন। ওই দিন অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কোনও কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে খেয়াল না করেই অধিবেশন কক্ষ তালা বন্ধ করে দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু রাতে হঠাৎই তাঁর চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে তৎকালীন নিরাপত্তা রক্ষীরা দেখেন পা ভেঙে পড়ে রয়েছেন ওই কেয়ারটেকার। পরে তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের জানান, এক কিশোরী যেন তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। সেই ভয়ে তিনি ঝাঁপ দেন।