কলকাতা: চড়-কাণ্ডের পর আবারও শিরোনামে তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারি তথা আপ্তসহায়কের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস করলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই অডিয়ো শোনান শঙ্ক, তবে অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। শঙ্কুদেবের দাবি, চণ্ডীপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধরের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই অডিয়ো ক্লিপে। তাঁর দাবি, এটা শুধুই ট্রেলার শোনানো হল। এমন আরও অনেক ক্লিপ সামনে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শঙ্কুদেব।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শঙ্কু বলেন, “এটা ট্রেলার শোনাচ্ছি, ফিল্ম আমাদের কাছে আছি। ঠিক সময়ে আদালতে জমা দেব।” তাঁর দাবি, বিজেপি কর্মীদের সরাসরি আক্রমণ করার জন্য লোকজন তৈরি রেখেছিলেন সোহম। এ বিষয়ে আপ্তসহায়কের সঙ্গে সোহম কথা বলেছিলেন বলেও দাবি শঙ্কদেবের।
যে অডিয়ো তিনি প্রকাশ করেছেন, তাতে দুই ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। শঙ্কুদেব বলেন, “সোহম ফোনে নির্দেশ দিচ্ছেন, শুধু অ্যারেস্ট করালেই হবে না, বেল পাওয়ার পর মারধর করতে হবে।” আপ্তসহায়ক সাবধান করা সত্ত্বেও সোহম থামেননি বলেও অভিযোগ শঙ্কুদেবের। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কিছুদিন আগেই সোহমের বিধানসভা এলাকা চণ্ডীপুরে এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও সোহমের নাম ছিল বলে অভিযোগ শঙ্কুর।
যাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, তিনি চুল ব্যবসায়ীর ছেলে বলে দাবি করেছেন শঙ্কু। তিনি বলেন, “চণ্ডীপুরে মানুষের চুলের ব্যবসা চলে। বর্ডার পেরিয়ে মানুষের মাথার চুল পাচার করা হয়। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। আগে আইনি ভাবে ব্যবসা হত, এখন বেআইনিভাবে ব্যবসা করা হয়। বাংলাদেশে পাচার করা হয়। ব্যবসায়ীর ছেলেকে চন্ডিপুর থেকে অপহরণ করা হয়। মালয়েশিয়ার সেই ব্যবসায়ী তাঁর ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন চণ্ডীপুরে। তাঁকেই অপহরণ করা হয়।”
সেই ঘটনায় ১৬ জন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও সোহমের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন শঙ্কু। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভোট প্রচারের সময় কোনও বিশেষ কারণে চণ্ডীপুরে দেখা যায়নি সোহমকে। এই বিষয়ে বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এক রেস্তোরাঁয় চড় মারার অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। অভিনেতার দাবি, রাগের মাথায় ওই কাজ করে ফেলেছিলেন তিনি।