কলকাতা : দু’বছর পর ধর্মতলার অনুষ্ঠান মঞ্চে ২১ জুলাইয়ের সভা করছে তৃণমূল। তাই এবারের সভা ঘিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা তুঙ্গে। নেত্রীর বক্তব্য সামনে থেকে শুনতে এসেছেন বহু মানুষ। আর তৃণমূল সাংসদ হিসেবে এবারের মঞ্চে প্রথমবার বক্তব্য রাখলেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সদ্য আসানসোলে উপ নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন। এ দিনের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করলেন তিনি। কী ভাবে হুইল চেয়ারে চেপেই বিজেপিকে কোণঠাসা করেছেন মমতা, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
শত্রুঘ্ন সিনহা এ দিন নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন, চুপ করে থাকার সময় এটা নয়। ফিল্মি কায়দায় তিনি বলেন, ‘আজ খামোশি হ্যায়.. কাল শোর আয়েগা। আজ তুমহারা ওয়াক্ত হ্যায়… কাল হামারা দর আয়েগা।’ বাংলা দখল করার জন্য বিজেপি সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করা সত্ত্বেও যে ভাবে তৃণমূল বিজেপিকে পরাস্ত করেছে, তা খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শত্রুঘ্ন।
তিনি বলেন, আজ আমি স্যালুট জানাতে এসেছি। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁর মতো সফল নেত্রী দেশে আর একজনও নেই বলে উল্লেখ করেন শত্রুঘ্ন। একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। আসানসোলে থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর দাবি, সেই জয় বিহারীবাবুর জয় নয়, জয়টা তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। পরে বিজেপি সাংসদ হন পাটনা সাহিব থেকে। বাজপেয়ী সরকারের আমল থেকে বিজেপিতে ছিলেন তিনি। পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ ছাড়াপ পর আসানসোল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয় তাঁকে।