Suvendu-Bratya: উচ্চমাধ্যমিকের ফি নিয়ে রাজ্যের তুলোধনা শুভেন্দুর, পাল্টা আসরে নামলেন ব্রাত্য

HS Exam Fee: সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে এনে লেখেন, ‘শিক্ষা অবৈতনিক, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনো না কোনো ভাবে ফন্দি এঁটে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ঠিক পয়সা উসুল করার ধান্দা করবেই করবে!’ পাল্টা পোস্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

Suvendu-Bratya: উচ্চমাধ্যমিকের ফি নিয়ে রাজ্যের তুলোধনা শুভেন্দুর, পাল্টা আসরে নামলেন ব্রাত্য
প্রশাসনিক রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর Image Credit source: Social Media

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 04, 2025 | 8:38 PM

কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর অভিযোগ শিক্ষা অবৈতনিক হওয়ার পরেও ঘুর পথে টাকা তোলার ‘ফন্দি’ এঁটেছে বাংলার সরকার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তোপ দাগেন শিক্ষক দুর্নীতি থেকে লাগাতার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে এনে লেখেন, ‘শিক্ষা অবৈতনিক, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনও না কোনওভাবে ফন্দি এঁটে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ঠিক পয়সা উসুল করার ধান্দা করবেই করবে!’ কিন্তু সমগ্র শিক্ষা অভিযানের আওতায় যেখানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলে শিক্ষা বিনামূল্যে হওয়ার কথা সেখানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টাকা তোলার উদ্দেশ্য কী, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

তবে চুপ করে থাকেননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিবিএসই-র নোটিস প্রকাশ্যে এনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা উচ্চমাধ্যমিকের ফি নিয়ে আসলে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লিখলেন, ‘রাজ্য সরকার বিনামূল্যেই সকলের পড়াশোনা চালায়! এর সঙ্গে সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করলাম সবার জ্ঞাতার্থে যাতে সত্য মিথ্যা সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়। বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বন্ধ হোক।’ 

যদিও শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য যা করছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এক্সে লিখছেন, “এই টাকা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক ভাবে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে নেওয়া হচ্ছে, এটা এখনই বন্ধ করতে হবে ও যাদের থেকে ইতিমধ্যেই টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকে সেমিস্টার ফি বাবাদ একজন পরীক্ষার্থীকে ১৯০ টাকা দিতে হয়। আগে পুরনো পদ্ধতিতে যখন পরীক্ষা হত তখন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুবার এই টাকা দিতে হতো। এখনও সেমিস্টার পদ্ধতি হওয়ার পর দ্বাদশে দুবার সেমিস্টার ফি বাবদ এই টাকা দিতে হয়। উল্টে একাদশ শ্রেণিতে কিছুই দিতে হয় না। ফলে পরীক্ষা বাবদ পড়ুয়াদের উপর অতিরিক্ত কোনও টাকা চাপানো হয়নি বলে দাবি সংসদের।