
কলকাতা: রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার। মঙ্গলবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পাঁচ মিনিট ফোনে দুজনের কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাকে আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে। এই ঘটনার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি সেদিনের গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানিয়েছেন।
সিদ্দিকুল্লা বলেন, “সাত জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানে কারা অপরাধী। আমি নাম দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যে কোনও জায়গায় এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর পদক্ষেপ করবেন।” মন্ত্রীর বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনার পর সরকারি আমলারাও নড়েচড়ে বসেছেন। দাবি মন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। সেই সময় তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দাবি, দলীয় কর্মীদেরই একাংশ হামলা চালিয়েছেন। মালডাঙা ও মন্তেশ্বর বাজার পৌঁছতেই তাঁকে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান একাংশ। এই ঘটনায় তিনি নিজেও আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেন সিদ্দিকুল্লা। ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে যান মন্ত্রী।
পরিস্থিতিতে এতটাই বিরক্ত হন, তিনি দল ছাড়তে চেয়েছিলেন। তাতে নড়েচড়ে বসে তৃণমূলও। গ্রন্থাগারমন্ত্রীকে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের ফোন পাওয়ার পরই সিদ্দিকুল্লা জানিয়ে দেন, তিনি দল ছাড়ছেন না। এবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করায় নতুন করে উদ্যম পেলেন সিদ্দিকুল্লা।