
কলকাতা: ২২০৮টি এমন বুথের নাম সামনে এসেছিল, যেখানে কোনও ভোটারের মৃত্যুই হয়নি। পরিসংখ্যানটা চমকে দেওয়ার মতো। প্রশ্ন ওঠে, ২০০২ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে ওই বুথগুলিতে কি সত্যিই কারও মৃত্যু হয়নি? পরে নির্বাচন কমিশন জেলাশাসকদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চায়। আর তারপর থেকেই হু হু করে নামতে শুরু করেছে এমন বুথের সংখ্যা।
সোমবার এরকম বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা নেমে হল ৪৮০। আর বুধবার সেটা আরও কমে হল ২৯। প্রথম দিনের পরিসংখ্যানে ছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ৭৬০। কিন্তু বুধবার সেটা কমে হয়েছে ২০। এদিনের তথ্য বলছে, জলপাইগুড়িতে ১, মালদহে ৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২০, হাওড়া ১, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ রয়েছে, যেখানে কোনও মৃত ভোটার নেই।
ডিইও-দের রিপোর্ট বলছে, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে এমন বুথের সংখ্যা শূন্য হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদি অবজারভাররা না আসতেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যদি তথ্য বদল করতে না বলা হত, তাহলে এসআইআরে থেকে যেত বিস্তর গলদ? প্রশ্ন উঠছে। তথ্যের এমন পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও।
উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফর্ম ফেরত আসেনি ৫০ লক্ষ। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটার ২২ লক্ষ, স্থানান্তরিত ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা ৪ লক্ষ, ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ।