
কলকাতা: বিএলও-দের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক অভিযোগ। কেউ চাঁটাই বিছিয়ে, কেউ বা চায়ের দোকানে, কিংবা কেউ তৃণমূল নেতার বাড়িতে বসেই নাকি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নজরে এই বিষয়টি এসেছে। কিন্তু এবার বিএলএ-বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। বিএলএ, মানে যাঁরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, যাঁরা বিএলও-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে,তাঁরা নাকি মৃত ভোটারদের নামেও এনুমারেশন ফর্ম দিতে বাধ্য করেছেন। এরকম ৮ জনের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।
অভিযুক্ত এজেন্টদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে অধিকাংশই শাসকদলের বিএলএ বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপি, বামেরা আরও তিন ধরনের অভিযোগ করছে। যেমন, শাসকদলের বিএলএ-রা নাকি বাকি রাজনৈতিক দলের বিএলএ-দের যেতেই দিচ্ছেন না। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারে যিনি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন, সেই অভিজিৎ দাস অর্থাৎ ববি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ফলতাতে ‘জাহাঙ্গির’ নামে এক জন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, তিনি বিএলও-দের ফোন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি জাহাঙ্গির এও নাকি বলেছেন, কোনও মৃত ভোটারের নাম বাদ যাবে না।
বিরোধীদের বক্তব্য, যদি এই ‘ট্রেন্ডটাই’ বজায় থাকে, তাহলে SIR করার কোনও অর্থই থাকবে না। এই নিয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন কমিশন বলল, SIR-এর কথা, তখন ওরা বলল SIR মানিনি। এখন শুধু হয়েছে SIR নিয়ে জোয়াচুরি। মৃত ভোটারদের নাম রাখতে চাইছে। ২০০২ সালের পর যে সমস্ত রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদেরকে ফেক বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের নাম রাখার চেষ্টা করছে।”
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এখানেও সাহিত্য রচনা করলেন। বিহারে এক লপ্তে যাঁদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হল মৃত বলে, পরে তাঁরা ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁরা তো মৃত, তাহলে তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেট কোথায়? সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তাঁরা সেই একই প্রশ্ন করলেন। “