
সায়ন্ত ভট্টাচার্য ও সুজয় পাল
কলকাতা: জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের বাড়িতে গিয়ে যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করল সিটের তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও ওই বাড়ির বিভিন্ন ভেঙে দেওয়া অংশের নমুনাও সংগ্রহ করলেন। পাশাপাশি জাফরাবাদেই আরও তিনটি বাড়ির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সিট সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ধুলিয়ানে যখন অশান্তি চলছিল, তখন জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। যে ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করে বাবা-ছেলেকে খুন করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করে সেটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, সিটের তদন্তকারীরা আগামী কয়েকদিন বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বাড়ির নমুনা সংগ্রহ করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জাফরাবাদে এলাকার মানুষের বিভিন্ন ক্ষোভের কথা এদিন সিটের সামনে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।
অন্য়দিকে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, এখনও পর্যন্ত সুতি ও সামশেরগঞ্জ হিংসায় ৬০টি মামলা হয়েছে। ২৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১১ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। বাবা-ছেলে জোড়া খুনে এর আগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সুপ্রিম সরকার জানান এদিন ইঞ্জামুল হক নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। খুনের পরিকল্পনায় ছিল এই ব্যক্তি। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সিসিটিভি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, যারা যারা যুক্ত তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হবে। অন্যদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছে ৮৫ জন ঘরছাড়া। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জেলা প্রশাসন। বাড়ির ফেরার চেষ্টা চলছে।