
কলকাতা: সমীক্ষক সংস্থা রাইটস মাটির তলায় মেট্রো স্টেশনগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতেই তড়িঘড়ি এবার টেন্ডার ডাকল কলকাতা মেট্রো ভবন। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি পিলারে ফাটল ধরায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। তারপরই স্টেশনগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। বর্তমানে মাটির তলার স্টেশনগুলির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ জেনারেল ম্যানেজার। এই অবস্থায় বড় বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন খোদ মেট্রো রেলের আধিকারিকরাই।
সেই কারণেই এবার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেখানে নির্দিষ্ট করে প্রতিটি বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মেট্রোর তরফে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের বিপর্যয় অস্বস্তি বেড়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন উঠেছে, বাকি স্টেশনগুলির অবস্থা নিয়েও।
সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত প্লাটফর্ম, মেট্রো ট্র্যাক বা রেললাইন, এসি ভালভ সহ যাবতীয় পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির কাজে এই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মোট কাজের টেন্ডার মূল্য ধরা হয়েছে ৮৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০ টাকা। সময়সীমা ধরা হয়েছে ন’মাস। এই সময়সীমার মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হবে বলে মেট্রো তরফে টেন্ডারে জানানো হয়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, রাইটসের তরফে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, সেখানে তিনটি বিষয়কে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক, মেট্রোর লাইন বা ট্র্যাক, দ্বিতীয়টি হল ডি-ওয়ালসহ মাটির নীচে সুড়ঙ্গের বর্তমান অবস্থা, আর তৃতীয়টি হল প্ল্যাটফর্ম এবং পিলার।
মেট্রো সূত্রে খবর, মাটির তলায় মেট্রোর লাইন দিয়ে এক একটি রেক ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চালানো যায়, কিন্তু ভিতরের অবস্থা খুব একটা অনুকূল না হওয়ায় রেকের গতি ৫৫ কিমি প্রতি ঘন্টার বেশি ওঠানো হয় না। রাইটস যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে মেট্রো ট্র্যাক ছাড়াও শহরের মাটির তলায় থাকা কোন কোন স্টেশন গুলি অবস্থা চিন্তা বাড়িয়েছে, সেটাও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে।